পার্থপ্রতিম বিশ্বাস ও মনোজ্ঞা লহিয়াল, কলকাতা: কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর থেকে একের এপর এক ভুয়ো আমলা আর ভুয়ো আধিকারিকের হদিশ মিলেছে রাজ্যে।
ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো সিবিআই-এর আইনজীবী, ভুয়ো পুলিশ অফিসার, ভুয়ো মানবাধিকার কর্মী, ভুয়ো রেলের পদস্থ কর্তা, ভুয়ো সেনা অফিসারের পর, ভুয়ো ডাক্তারের পর এবার ভুয়ো পুর-আধিকারিক।
দেবাঞ্জন দেব-এর পর স্বপন সমাদ্দার। এবার কলকাতা পুরসভার ফুড ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে পাকড়াও এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে যদুবাবুর বাজারে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স পরীক্ষা করছিলেন স্বপন। দেবাঞ্জনকাণ্ডের পর সতর্ক থাকা ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে এদিন তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
গ্রেফতারের পর পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার ভুয়ো রবার স্ট্যাম্প। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আজ তাঁকে তোলা হবে আদালতে।
মৃত চিকিৎসকের রেজডিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে প্র্যাকটিস করার অভিযোগে গত পরশু এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেনারেল ফিজিশিয়ান পরিচয়ে এলাকায় ৭ বছর ধরে চিকিত্সা করছিলেন অভিযুক্ত।
ওইদিনই, বিমল গুরুঙ্গের নাম নিয়ে বেসরকারি কলেজ থেকে এলাকা স্যানিটাইজেশনের নামে ১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে কালিম্পং থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখা। ধৃতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মোর্চা।
তার ২ দিন আগে, নদিয়া থেকে আরেক ভুয়ো আইএএসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের আসল নাম অদ্বৈত আচার্য। অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিয়ে নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করতেন তিনি। কল্যাণীর বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত।