রাজীব চৌধুরী, ভরতপুর (মুর্শিদাবাদ): আবাস যোজনায় তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ। বিডিওর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানালেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের সিজগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন প্রধানের স্বামী।


এক-দু’জন নয়। সরকারি আবাস প্লাস প্রকল্পের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ১৬ জন আত্মীয়র। আর এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শাসকদলের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ-সহ একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ।


অভিযোগকারী আব্দুল শেখ বলেন,  একজন ভাসুর, একজন জামাইবাবু, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের পাইয়ে দিয়েছে। প্রত্যেকের পাকা বাড়ি তারপরও বাড়ি পাচ্ছে। কিন্তু কী এই আবাস প্লাস প্রকল্প?  ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে যাঁদের নাম বাদ পড়ে, তাঁদের জন্য ‘আবাস প্লাস’ নামে আরেকটি প্রকল্পে নাম নেওয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে। সম্প্রতি সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর সেখানই উঠেছে এমন স্বজনপোষণের অভিযোগ। এ বিষয়ে বিডিওর মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধান রসমিনা বিবির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ভরতপুরের সিজগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ এনেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।


তৃণমূল নেতা ও প্রধানের স্বামী আমির হাজমা বলেন, আমাদের সিজগ্রামে ১০৪ জনের নাম আছে যাদের কাঁচা বাড়ি, হুমকি দিয়ে বলে ৪০ হাজার টাকা দাও। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র বলেন, প্রধানের আত্মীয়ের নামে ১৭টি বাড়ি নথিভুক্ত হল, সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? দুর্নীতির তদন্ত হোক।


স্বজনপোষণ বিতর্কে দলের প্রধানের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন, এই তালিকা তৈরিতে প্রধানদের ভূমিকা ছিল না, ব্লকস্তরে প্রশাসনের লোকজন তালিকা তৈরি করে। ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, আবাস প্লাস প্রকল্প নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু ভাবা হচ্ছে না। ২০১৮ সালে এই তালিকা তৈরি হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।