মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস কর্মী অমল গুপ্তর গ্রেফতারি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
এরই মধ্যে এদিন নাম না করে ফের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের দিকেই ইঙ্গিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, বিধ্বংসী রাজনীতি করা উচিত নয়। একজন অ্যারেস্ট হয়েছে। আপনারা জানেন কোন দলের। আগুন লাগানো উচিত নয়।
ঘটনার দিন রাতে বহরমপুর পৌঁছে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন। রাজ্য মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন বলেছিলেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল। কেন আচমকা অকেজো হয়ে গেল? এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা।
এরপর রবিবার হাসপাতালের কংগ্রেস পরিচালিত রোগী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মী অমল গুপ্তকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, আগুন লাগানো, অপরাধমূল ষড়যন্ত্র, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ বিভিন্ন জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
রাজ্য সরকারের ষড়যন্ত্রের তত্বকে সিলমোহর দিতেই এই গ্রেফতারি বলে দাবি করে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর দাবি, অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যাঁরা তাঁদের আড়াল করে ষড়যন্ত্রন্ত্রের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এই গ্রেফতারি। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র প্রমাণ করতেই গ্রেফতার, যাতে তৃণমূলের দিকে কেউ আঙুল তুলতে না পারে। কেন অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না? কেন ২ ঘণ্টা পর এল দমকল? রাষ্ট্রপতির ঘরে কেন এতদিন এসি চলল? ওনার দফতরের ব্যর্থতার প্রকাশ্যের আসলে সমস্যা আছে তাই নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা, ষড়যন্ত্র প্রমাণ করতে না পারলে উনি পদত্যাগ করবেন?
কংগ্রেসের দাবি প্রসঙ্গে কিছু না বললেও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তদন্ত চলছে, বেরিয়ে আসবে কারা জড়িত।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার কংগ্রেস কর্মী অমল গুপ্ত চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলেছিলেন, লোকজন আছে আপনি আমাদের হেল্প করুন। এখন পাল্টি খেয়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বিজয় ভৌমিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের সুপার সুহৃতি পালও।
সবমিলিয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘিরেও এখন রাজনীতি তুঙ্গে।