রাজীব চৌধুরী, সামশেরগঞ্জ (মুর্শিদাবাদ):  মালদায় ধৃত চিনা নাগরিকের কাজকর্ম  উসকে দিয়েছে ভারতে সাইবার ওয়ারফেয়ারের আশঙ্কা। 


জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হান জুনওয়ে ভারত থেকে চিনে ১৩০০টি সিম পাচার করেছেন। সেইসঙ্গে চিনে ১ হাজার জনের ডেটাও পাঠিয়েছেন।  


১০ জুন মালদা থেকে সেই চিনা নাগরিক গ্রেফতার হওয়ার ১৯ দিনের মাথায় প্রতিবেশী জেলা মুর্শিদাবাদে সিম জালিয়াতির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মোক্তার হাসান। 


মঙ্গলবার সন্ধেয় সামশেরগঞ্জের হাউসনগর বাজারে মোক্তারের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ধৃতের দোকান থেকে বেশ কিছু ভুয়ো সিম উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে বেশ কিছু আধার ও ভোটার কার্ড। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, ৬টি মোবাইল ও একটি ক্যামেরা। 


জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, একজন এখানে কিছু ফেক সিমকার্ড করছিল। সিমকার্ড তৈরি করতে আধার ও ভোটার্ কার্ড যে লাগে তাও পাওয়া গেছে। জালিয়াতির সব কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। যে সিমকার্ডগুলো ওখান থেকে তৈরি করা হয়েছিল, ওগুলো লিস্ট করা হচ্ছে। সার্ভিস প্রোভাইডারকে পাাঠাব ওই নম্বরগুলোকে ডিঅ্যাক্টিভেট করার জন্য।


ঘটনাকে ঘিরে শাসক দলের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, এ হল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। রাজ্য সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে এই এলাকা ঘুরে দেখতে হবে এত বড় মার্জিনে জিতেছেন।


বিজেপি বিধায়ক তথা দলের মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, এধরনের ঘটনা পরপর হচ্ছে, আমরা চাই সিবিআই তদন্ত হোক। এরকম প্রচুর যুক্ত। নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। রাজ্য প্রশাসনের কাজ না।


পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুর্শিদাবাদ জেলা কোঅর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, প্রশাসন সক্রিয় আছে বলেই তো দুর্নীতিগুলো বেরোচ্ছে। যারা এই ধরনের কাজ করছে মমতা সরকার তাদের কাউকে রেয়াত করবে না। অধীর চৌধুরীর মাটি হারিয়েছে তাই এধরনের অভিযোগ করছেন।


এর আগে, সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে জাল আধার তৈরির একটি চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। তিনজনকে গ্রেফতারও করে।  এবার হদিশ মিলল ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবসায়ীর।