মুর্শিদাবাদ: স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল ছোট্ট হায়দরের। ক্লাসরুমের মধ্যেই দেওয়াল চাপা পড়ল এই স্কুল পড়ুয়া!
মুর্শিদাবাদের লালবাগের এই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেই পড়ত লালবাগের বছর এগারোর হায়দর রেজা। মঙ্গলবার সে যখন ক্লাস করছিল, তখন আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্লাসরুমের একটি দেওয়াল। থেঁতলে যায় হায়দরের মাথা!
এক অভিভাবকের দাবি, টিফিনের আগে স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম একজন ছাত্রকে নিয়ে যাচ্ছে। গিয়ে দেখি ক্লাসের একটি দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে, রক্ত ছড়িয়ে আছে।
লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে খুদে এই স্কুল পড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত স্কুলছাত্রর আত্মীয় বিশাল হোসেন বলেন, স্কুল থেকে দুপুরে ফোন করা হয়, হাসপাতালে যেতে বলে। গিয়ে দেখি মৃত্যু। স্কুলের গাফিলতি, এবং ঠিকাদারের গাফিলতি। দোষীদের শাস্তি চাই।
ছাত্রের এভাবে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বেসরকারি এই স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিজন ও স্থানীয়দের একাংশ।
গাফিলতির অভিযোগ এনে থানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার।যদিও ঘটনার পর স্কুলে তালা মেরে, বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা।
কিন্তু কেন ভেঙে পড়ল ক্লাসরুমের এই নতুন পাকা দেওয়াল? স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি হল ঘরকে আলাদা করার জন্য, মেঝের ওপরই তড়িঘড়ি দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। দেওয়ালের নিচের অংশ মজবুত ছিল না। তার ফলেই দুর্ঘটনা! যার জেরে এক পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু।
গত ষোলোই অগাস্ট স্কুলের জানলার গ্রিল ও দেওয়ালের চাঙর ভেঙে জখম হয়েছিল কলকাতার হিন্দু স্কুলের ৩ স্কুল পড়ুয়া। প্রশ্ন উঠছে, আর কবে হুঁশ ফিরবে স্কুলগুলির? কবে বন্ধ হবে পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে খেলা?