কলকাতা: একসময় মুর্শিদাবাদ ছিল অধীর চৌধুরীর গড়। সেই মুর্শিদাবাদেরই জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল। সাতটি পুরসভার মধ্যে বহরমপুর-সহ পাঁচটি তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। ২৬টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েত সমিতিও এখন তৃণমূলের দখলে।
এই পরিস্থিতিতে, দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর সোমবার, মুর্শিদাবাদে প্রথম প্রশাসনিক সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকে নাম না করে তাঁর নিশানায় অধীর চৌধুরী। বললেন, মুর্শিদাবাদে মির্জাফরও ছিল, মির কাসেমও ছিল, সিরাজদৌল্লাও ছিল। নামের উপর ইলিউশনে এখানে দীর্ঘদিন কোনও কাজ হয়নি। শুধু রাজনীতিই হয়েছে।
এখানেই থামেননি মুথ্যমন্ত্রী। অধীর চৌধুরীর জেলায় গিয়ে তাঁর নাম না করে আবার তিনি বলেন, যাঁরা কিছু করতে পারেন না, তাঁরা শুধু মমতাকে গালি দেন। মমতা যা কাজ করেন, তার এক শতাংশ করে দেখান। তারপর কথা বলবেন। কাজ করবেন না, খালি চমকাবেন। মমতাকে চমকে ধমকে কোনও লাভ নেই।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, গরু পাচারের মতো বিষয়, মুর্শিদাবাদের রাজনীতির সঙ্গে আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে। এ দিন সে সব রুখতেও কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, মুর্শিদাবাদে পরিবর্তনের ঝড় উঠেছে। এখানে স্মাগলিং, গরু পাচার বন্ধ করতে হবে। নারী পাচার বন্ধ করতে হবে। ১০ জন লোকের করে খাওয়ার জন্য জেলার বদনাম করবেন না। শক্ত হাতে দুবৃত্তদের মোকাবিলা করব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মুর্শিদাবাদ দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের দুর্গ বলে পরিচিত। তার সেনাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল এখন সেই দুর্গে থাবা বসিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, মুর্শিদাবাদের মানুষ যাতে অধীর মিথ আঁকড়ে না থাকে, সেই বার্তা দিতেই একদিকে, নাম না করে তাঁকে আক্রমণ এবং পরিবর্তনের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।