সুনীত হালদার, হাওড়া: ফি-বছর জামাইষষ্ঠী এলে বাঙালির পাতে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত ওড়িশা এবং দিঘা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইলিশ মাছের যোগান নেই। 


তাই এবছর জামাইষষ্ঠীতে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভরসা মায়ানমারের ইলিশ। এই ইলিশই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।


২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছর পুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার এপার বাংলার ইলিশের চাহিদা কথা ভেবে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। 


এখন বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ আছে। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১৫ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। 


১৬ জুন থেকে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে যাবে। তখন পাওয়া যাবে ভাল ইলিশ। তবে এবারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপকূলবর্তী এলাকাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। 


অসংখ্য মৎস্যজীবীদের ট্রলার এবং নৌকা ভেঙে যায়। ফলে ইলিশ উৎপাদন মার খায়। এই ঘাটতি মেটাতে হাওড়া মাছ বাজারের বড় ব্যবসায়ীরা মায়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেন। 


হাওড়া ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ মায়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে। 


এই মাছ কলকাতার সব বড় বড় বাজারে বিক্রি করা হবে। তারা জানিয়েছেন, মায়ানমারের ইরাবতী নদীর ইলিশ এবং বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশের তফাৎ নেই। 


তবে মায়ানমার থেকে যেহেতু ইলিশ মাছ জাহাজে করে আসে, তাই সেটা সাধারণত বরফের হয়। বাংলাদেশের মতো টাটকা ইলিশ নয়। 


এদিন হাওড়া মাছ বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশের দর উঠেছে হাজার থেকে ১১০০ টাকা। খুচরা বাজারে সেটা ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা অথবা একটু বেশি দরে বিক্রি হবে।


এখন দেখার জামাই আপ্যায়ণে ইলিশের চাহিদা কতটা মেটে।