জলপাইগুড়ি: কীভাবে মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির সরকারি অফিসারের? রহস্য বাড়াল ময়নাতদন্ত করতে আসা চিকিৎসকের মন্তব্য। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এদিকে মৃতের বিরুদ্ধে আবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিহতের। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
জলপাইগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারি অফিসার নাদির শাহর রহস্য মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে ধোঁয়াশা।


২৮ বছরের এই ঝকঝকে তরুণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে সরকারি আবাসন থেকে।
এখানকার এক বাসিন্দার দাবি, বুধবার রাতে নাদির শাহর স্ত্রী এসে তাঁকে বলেন, আমার স্বামী গলায় দড়ি দিয়েছে! শিগগির চলুন!
কিন্তু, শুক্রবার ময়নাতদন্ত করতে আসা এক চিকিৎসক বলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলে তাঁদের মনে হচ্ছে না।
এতেই গোটা ঘটনা নিয়ে ধন্দ বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এটা কি কি আদৌ আত্মহত্যার ঘটনা? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য রহস্য?
এর মধ্যেই আবার নাদিরের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মৃতের শ্যালক বলেছেন, শুনেছি একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এসব নিয়ে অশান্তি ছিল।
মৃত সরকারি অফিসারের বাবা অবশ্য এসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
পুলিশ সব দিকই খতিয়ে দেখছে।