সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর:  শান্তিপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পাল্টা পঞ্চায়েত-দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।


সোমবার সকালে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের মনসাতলা এলাকায় হরিপুর নাগরিক মঞ্চের নামে একাধিক জায়গায় পোস্টার দেখা যায়।


পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। 


অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শান্তিপুরে তৃণমূল পরিচালিত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকার মণ্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় আছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ওই পোস্টার লাগিয়েছে। 


পাল্টা শান্তিপুরের বিজেপি নেতা বিপ্লব কর বলেন, ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আগামীদিনে আন্দোলনে নামব। তৃণমূলের তোলা অভিযোগ খারিজ করে তিনি জানিয়ে দেন, পোস্টারের সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়।


রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মালদা থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে। 


গত সপ্তাহে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে এই প্রকল্প ঘিরে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে একই ব্যক্তির নামে বরাদ্দ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দু-দুটি ঘর।


অভিযোগ, পরিবারের এক সদস্য-সহ বেশ কয়েকজনের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুটি করে ঘরের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যা। 


এই বিষয়ে, সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী ও আবাস যোজনায় নোডাল অফিসারের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।


তার আগে, এই প্রকল্প ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। কোথাও নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের, কোথাও আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। এবার সেই তালিকায় জুড়ল শান্তিপুরের নাম।