প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ একটি ট্রাক আটক করল নদিয়ার কোতোয়ালী থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপরই গতকাল রাতে কৃষ্ণনগরের চার গেট থেকে একটি কলার ট্রাক আটক করে পুলিশ।
তল্লাশি চালিয়ে দশটি বস্তায় ২০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। ট্রাকের চালক ও খালাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে তাঁদের নাম শাহিনূর খান ও দেবাশীষ চৌধুরী, উভয়ই করিমপুরের বাসিন্দা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্য জেলা বা রাজ্য থেকে গাঁজাগুলো আমদানি করা হচ্ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত একই দিনে বালুরঘাটে চন্দন কাঠসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালুরঘাট শহরের কলকালি খাড়ি এলাকায় হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বালুরঘাট থানা ও পতিরাম থানা যৌথভাবে হানা দিয়ে এক কুইন্টালের উপর এই লাল চন্দন কাঠগুলি একটি সাদা ট্যাক্সি থেকে উদ্ধার করে।
পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে তা বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়ার ছক কষছিল। আজ দুপুরে বালুরঘাট থানায় ডাকা এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ধৃতরা হলেন সঞ্জীব দেবনাথ, রাজেশ কর্মকার ও অভিজিৎ সোরেন ওরফে পলটু। এদের সবার বয়স ত্রিশের উপর। এদের বাড়ি বালুরঘাট থানার কামারপাড়া এলাকায়।
অন্যদিকে আরও একটি পাচারকাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে এদিন। সোনার বিস্কুটসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রাকেশ কুমার এবং রমেশ কুমার শুক্লা। ধৃত দু-জনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রায় ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে এবং উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবর পেয়ে অভিযানে নামে তাদের বিশেষ দল। এর পর শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড সংলগ্ন একটি শপিং মলের কাছে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি আটক করে। এর পর গাড়িতে থাকা ওই দুই উত্তরপ্রদেশের যাত্রীর তল্লাশি নেয় ডিআরআই এর টিম।