বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ২ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চিঠি, থানায় জানানোয় বাড়ির সামনে বোমাবাজি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নেপথ্যে বিজেপির হাত দেখছে তৃণমূল। পাল্টা শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।


‘তোলা’ চেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে চিরকুট  পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। থানায় জানানোয় বোমাবাজি , এসএমএসে খুনের হুমকি পাওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ খাসিনুর রহমান। মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের অভিযোগ, ৩০ জুন  বাড়িতে চিরকুট পাঠিয়ে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। এরপর ৯ জুলাই বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা।


পরদিন থানায় অভিযোগ জানান তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, এরপর শুক্রবার এসএমএস পাঠিয়ে ফের টাকা চেয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবার।


অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা শেখ খাসিনুর রহমান বলেছেন, গত ৩০ জুন বাড়িতে চিরকুট ফেলে দিয়ে যায়, ২ লক্ষ টাকা দিতে বলে। ৯ জুলাই বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে।পরদিন থানায় যাই, গতকাল এসএমএসে টাকা না দিলে প্রাণ সংশয়ের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে।


অভিযোগকারী তৃণমূল নেতার মা খুরবানু বিবি বলেছেন, ছেলেকে হুমকি দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছি।


নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতাকে হুমকির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ সুফিয়ানের অভিযোগ, এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে।ওরা এভাবে হুমকি দিয়ে টাকা চাইছে।


বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেছেন, তাঁদের দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। আমাদের হেয় করার জন্য দোষ চাপাচ্ছে।


এই ঘটনায় ফের থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, কারা হুমকি দিচ্ছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।