নয়াদিল্লি: কাল সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারদ মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় ৪ হেভিওয়েট নেতাকে গৃহবন্দি রাখার যে রায় দেয়, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। কাল শুনানি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত সারণ ও বি আর গভাইয়ের ভ্যাকেশন বেঞ্চে।


নারদকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। চার নেতা-মন্ত্রীর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজই শুনানি চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তা হয়নি। তবে মঙ্গলবারই যে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।


এদিকে, সোমবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে নারদকাণ্ডের শুনানি। তীব্র সওয়াল-জবাব পর্ব চললেও এখনও নারদকাণ্ডে হেভিওয়েটদের জামিন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি অধরা। বুধবার ফের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। তার আগে মঙ্গলবার সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ দেয় কি না, সেটাই দেখার।


প্রাথমিকভাবে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ৪ নেতার শর্তাধীন জামিন নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় তারা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি পক্ষে সওয়াল করেন। যারপরই ওই দুই বিচারপতির পাশাপাশি আরও তিন বিচারপতিকে নিয়ে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।


কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত ৪ নেতাকেই বৃহবন্দি রাখার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ফিরহাদ হাকিম ও পরে বন্ডে সই করে এসএসকেএম থেকে ছুটি নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতেই গৃহবন্দি রয়েছেন। তবে মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এখনও এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন।


সোমবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানিতে নেতাদের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘সিবিআইয়ের এই ভূমিকা আগে দেখা যায়নি, যা ইচ্ছে করছে।’


সিবিআই আইনজীবী তাঁর সওয়ালে পাল্টা বলেন, ‘রাজ্য প্রশাসনের এই ভূমিকাও আগে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন, ঘেরাও করছেন, হুমকি দিচ্ছেন। মন্ত্রীরা গিয়ে বসে আছেন, এরকম দেখা যায়নি। এটা চলতে দিলে অন্য জায়গাতেও একই দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।’