দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ৭-৮ মাস আগে নিজের মেয়েকে পড়ানোর কথা বলে অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই প্রতিবেশী। এরপর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন প্রতিবেশীরা। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে তাকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ।


সম্প্রতি সাত বছরের এক বালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন করা হয় ওই নাবালিকাকে। হাওড়ার ডোমজুড়ের ঘটনা।


ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন উত্তেজিত জনতা। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। ভাঙচুর, আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক। তার খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকড়া পুলিশ আউটপোস্ট। 


জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের বাসিন্দা দীর্ঘদিন ওই এলাকায় মাদুলি ও কবজ বিক্রি করত। গত শুক্রবার বিকেলে বছর ৬৫-র ওই ব্যক্তি তার প্রতিবেশী ৭ বছরের মেয়েকে নিজের দোকানে ডাকে। চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় তাকে।


এর পর তার দোকানের মধ্যে তিনি ওই নাবালিকার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ি ফিরলে  শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বাবা-মা তাকে ডোমজুড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকের থেকে মেয়েটির অভিভাবক গোটা বিষয়টি জানতে পারে। এর পরই বাঁকুড়া পুলিশ আউটপোস্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। 


মাস খানেক আগে খাস উত্তর কলকাতায় একই ধরনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। এক নাবালিকাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে পরিত্যক্ত ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ওই আবাসনেরই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে।