একটা নয়, লোক ঠকানোর জোড়া পদ্ধতি। প্রথমত, নানারকম রং মিশিয়ে টাকা দিয়ে নতুন টাকা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, ডলার ভাঙানোর নাম করে প্রতারণা।
ঠিক কেমন এই পদ্ধতি? পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতারকরা প্রথমে একটি টাকায় আগে থেকে রং করে সাদা কাগজে মুড়ে ব্যাগের মধ্যে রাখত। এরপর তারা সবার সামনে একটি সাদা কাগজে রং করে আর একটি সাদা কাগজে মুড়ে দিত। শেষে হাতের কারসাজিতে ব্যাগের মধ্যে আগে থেকেই রাখা রং করা টাকা বের করে হাতের তালুতে রেখে ঘোরাত। কিছুক্ষণ পরে সেটাই হাত থেকে বের করে বলত, সাদা কাগজ টাকা হয়ে গিয়েছে। প্রতারকরা দাবি করত, বিশেষ এই কালির দাম এক লাখ টাকা।
দ্বিতীয় পদ্ধতি ছিল ডলার ভাঙানোর। প্রতারকরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলত। অল্প টাকার বিনিময়ে ডলার ভাঙানোর জন্য আবেদন জানাত তারা। কেউ রাজি হলে তাঁকে ডলারের ফটোকপি দিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিত তারা।
আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, তারুলিয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছে ২ সন্দেহজনক ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ধৃত ২ ব্যক্তির নাম দেবাশীষ মন্ডল ও সৌরভ মল্লিক। উভয়েই বাসন্তীর বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে ৮ টি বিভিন্ন কালারের ছোট বোতল, একটি ছোট স্পিরিটের বোতল, ৩ টি ১০০ ডলারের রঙিন ফটোকপি নোট, দুই বান্ডিল ১০০০ টাকার মাপের কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ধৃতদের বারাসাত কোর্টে তোলা হবে।