দার্জিলিঙ:  পাহাড়ে গুরুঙ্গদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তভার নিতে তত্পর এনআইএ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের প্রাথমিক ছাড়পত্র পেয়ে দার্জিলিঙ পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মোর্চা সভাপতি। এনআইএ  তদন্তের পক্ষে বিনয় তামাংও। পাহাড়ে একের পর এক নাশকতামূলক ঘটনা,


চকবাজারে বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলা। দফায় দফায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ।

এই নিয়ে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি। কিন্তু, এই প্রেক্ষাপটেই এবারএই মামলাগুলির তদন্তভার হাতে নিতে তত্পর হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে প্রাথমিক ছাড়পত্র মিলেছে। আর তার পরই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় শাখার গোয়েন্দা দল, দার্জিলিং পৌঁছে গিয়েছে।

সূত্রের খবর,  এনআইএ-র দলে রয়েছেন একজন ডিএসপি ও ২ জন ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার।ইতিমধ্যে বিভিন্ন মামলার নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর,  যে সব মামলায় UAPA এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারা যোগ করা হয়েছে, মূলত সেই মামলাগুলিরই তদন্তভার হাতে নিতে চায় এনআইএ।

এই সব মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরি, প্রকাশ গুরুঙ্গের মতো মোর্চা নেতারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবেই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তভার নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিমল গুরুঙ্গ।

এক প্রেস বিবৃতিতে মোর্চা সভাপতির দাবি,  চকবাজারে প্রথম বিস্ফোরণের পর, মোর্চা নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে চিঠি দিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিল।

গুরুঙ্গের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ কোনও ঘটনার সঠিক তদন্ত না করেই, এফআইআরে মোর্চার শীর্ষ নেতাদের নাম যোগ করেছে।

সাব-ইন্সেপক্টর অমিতাভ মালিক ও আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর ঘটনাতেও সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন গুরুঙ্গ। বিনয় তামাঙ্গও এনআইএ তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

সূত্রের খবর, প্রয়োজনে মামলার নথি হাতে পেতে আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারে এনআইএ।