অশোকনগর: জাল চেক ভাঙিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল। তৈরি করা হয়েছিল নকল আধার ও প্যান কার্ড। অশোকনগরের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১১ জুলাই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ঈশ্বরীগাছা শাখার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।



অভিযোগে উল্লেখ, ৬-৭ জন গ্রাহকের ১৩টিরও বেশি চেক জাল করে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকা। পুলিশের দাবি, যাদের চেক জাল করা হয়েছে, সেইসব গ্রাহকদের নামে নকল আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশ জড়িত বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।


এমনকি, জাল চেক ভাঙিয়ে মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকেও তোলা হয় টাকা। মৃত গ্রাহকের আত্মীয় মুস্তাক আহমেদ জানালেন, '১০ তারিখ আমার আত্মীয় মারা গেছে...ওঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ তারিখ টাকা তোলা হয়েছে' । আরেক গ্রাহক প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল জানান, চেক বই আছে, তাঁর কাছেই। কিন্তু টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। 


১১ জুলাই অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের তরফেও তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
পুলিশের দাবি, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ওই গ্রাহকদের প্যান ও আধার কার্ড জাল করে বারাসাতে বেসরকারি ব্যাঙ্কে খোলা হয় অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তোলা হয়।এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের পুরনো চেকবই কাজে লাগায় প্রতারকরা। 

এই ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখায় কর্মরত দুই অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা লোন ও লোন রিকভারি শাখার সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

দিন দুয়েক আগে আরও একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ মেলে হুগলি থেকে । একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় গায়েব হয়ে যায় দশ লক্ষ টাকা। আরেকটি থেকে উধাও হয় পঞ্চাশ হাজার। মাথায় হাত পড়ে যায় হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন গ্রাহক। তদন্ত করছে চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।