সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা :
ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো দুর্ভোগ কাটল না হাড়োয়া বাসীর। ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায়  হাসপাতালের চত্বরে রাতভর খোলা আকাশের নিচে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে চরম কষ্ট শিকার করে ঠেসাঠেসি করে থাকছেন ভ্যাকসিন প্রাপকরা । প্রায় প্রতিদিনই একই ছবি দেখা যাচ্ছে হাড়োয়ার গ্রামীণ হাসপাতালে । দূরদূরান্ত গ্রামের মানুষ হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন না পেয়ে দিনের পর দিন একটা ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় রাত ভোর জেগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন!



 ' প্রথম দিকে গ্রামের মানুষ ভ্যাকসিন নেননি, তাই এখন এই সমস্যা ' বলছে প্রশাসন। শুধু হাড়োয়া নয় আশপাশের মিনাখা, দেগঙ্গা থেকেও মানুষ আসছেন এই হাসপাতলে ভ্যাকসিন নিতে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন নিতে লাইন দিচ্ছেন হাজারের উপর  মানুষ। দিনে ২০০ বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

করোনাবিধি কার্যত শিকেয়। প্রতিদিন মারধর ঠেলাঠেলি, গুঁতোগুতি চলছেই হাসপাতাল চত্বরে। বহু মানুষ ভ্যাকসিন না পেয়ে হাসপাতাল চত্বরেই খোলা আকাশের নিচে দুর্যোগ উপেক্ষা  করে  দাঁড়িয়ে রয়েছেন। 

শুক্রবারও হাড়োয়ায় এমনই ছবি ধরা পড়ে।  গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার থেকে টানা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শুক্রবারও মেলেনি ভ্যাকসিন! নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি! সকাল থেকে সন্ধে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছাতা মাথায় হাসপাতাল চত্বরে গ্রাহকরা ভিড় জমায়। গ্রাহকদের একাংশের বক্তব্য, উভয় সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা! একদিকে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট না দেখালে মিলছে না কাজ! 
অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন! 

শুক্রবার হাড়োয়ার হাসপাতালে এক বিশেষভাবে সক্ষম এই বৃদ্ধকে দেখা যায়। তাঁরও অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে ৩ দিন কেটে গেলেও এখনও ভ্যাকসিন পাননি তিনি!  ঘটনায় বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার তরফে জানানো হয়েছে, জোগান অনুয়ায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। 

দিন কয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ভোগান্তির একই ছবি দেখা গিয়েছিল। রাজ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কটের চিত্রটা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাড়োয়া হাসপাতাল।