সমীরণ পাল, বিরাটি: বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবুলাল ওরফে প্রশান্ত সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মী খুনে এনিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। 


পুলিশের দাবি, ২১ জুলাই মারধরের পর বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয় বাবুলাল। সেখানে সোহান, সাগর-সহ ৩ দুষ্কৃতীর সঙ্গে বসে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে। 


খুনে অভিযুক্ত আরেক দুষ্কৃতী বিপ্লব নিমতার স্থানীয় ক্লাবে বসে তৃণমূল কর্মীর গতিবিধি সম্পর্কে খবর দিচ্ছিল। সেই মতো রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্তকে দেখেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে শুরু করে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাবুলাল একসময় দমদম, নিমতা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাজা দত্তর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। 


এর আগে, গত ২ তারিখ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সাগর দাস, সোহন দাস, বিপ্লব হালদার তিনজনই বিরাটির বাসিন্দা। 


তিনজনই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বাবুলাল সিংহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাবুলাল সিংহের ওপর হামলার বদলা নিতেই, তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিত্‍ দত্তকে খুন করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। 


গত ২১শে জুলাই  তৃণমূলের শহিদ স্মরণের রাতেই, বিরাটিতে শ্যুটআউটে খুন হন তৃণমূল কর্মী। দুটি বাইকে ৩জন এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি চালায়। 


১মিনিটেই ৫টা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় শুভ্রজিৎ দত্তের শরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর মন্দারমণি পালিয়ে যায় তিন আততায়ী। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, খুনের দিন সকালে ইমারতি কারবারে যুক্ত বাবুলাল সিংহকে মারধর করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তার বদলা নিতেই খুন করা হয় তৃণমূল কর্মীকে।


পুলিশের অনুমান,  ইমারতি কারবারে গণ্ডগোলের জেরেই খুন। তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিতের সঙ্গে বাবুলালের মধ্যে সিন্ডিকেট সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। বাবুলালের ওপর হামলার বদলা নিতেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। 


এই ঘটনায় প্রথম  বিরাটির দাসনগরের বাসিন্দা বাসুদেব দাসকে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৫ তারিখ  বীরভূম থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।