সমীরণ পাল, বনগাঁ: পরপর দলীয় বৈঠক এড়ানোর পর এবার দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা গেল না বাগদার বিজেপি বিধায়ককে। নিজের বিধানসভা এলাকায় বিজেপির মশাল মিছিলে অনুপস্থিত রইলেন বিশ্বজিৎ দাস। 


বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিধায়ক গুরুতর অসুস্থ। এবিষয়ে বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিক্রিয়া না মিললেও, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূলের মুখে।


বনগাঁ বিজেপির পাঠশালায় তিনি বরাবরই যেন স্কুলছুট। রাজ্য সভাপতি বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পৌরহিত্যে দলের বৈঠকই হোক বা দলের কর্মসূচি, তিনি যেন কিছুতেই নেই। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস অনুপস্থিত রইলেন তাঁর দলের মশাল মিছিলেও।  


ত্রিপুরা কাণ্ডকে সামনে রেখে ঘরে-বাইরে এবং সংসদে বিজেপিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এমন একটা সময়ে ভ্য়াকসিন দুর্নীতি, নারী নির্যাতন ও ভোট পর্রবর্তী হিংসার অভিযোগকে সামনে রেখে সোমবার পাল্টা পথে নামে বিজেপি।


কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও স্লোগান তুলে দলের মশাল মিছিলে দেখা গেল না বাগদার বিজেপি বিধায়ককে। অথচ সোমবার তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের হেলেঞ্চাতেই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল দল। 


সেখানে বনগাঁ উত্তর, গাইঘাটা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়করা হাজির হলেও, এলাকার বিধায়ককে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, বাগদার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিবাদ দীর্ঘদিনের। মনস্পতি দেব বললেন, উনি খুব অসুস্থ। কালকে আমরা সবাই কথা বলেছি। আমি কথা বলেছি। কনভেনর কথা বলেছেন। উনি প্রচণ্ড অসুস্থ। বেড রিডন। এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই।


গত ৩১ জুলাই বনগাঁয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের পৌরহিত্যে বিজেপির বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বাগদার বিধায়ক। সেই সময় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেছিলেন, একজনকেও দেখিনি মালা দেওয়ার জন্য। কেউ পাশে থাকেননি। মন্ত্রী এসেছিলেন, আশা করেছিলাম তাঁকে আনা হবে। এখানকার নেতৃত্ব সত্যিই অযোগ্য। এদের সঙ্গে মানুষের আশা-ভরসা থাকবে না।


এই আবহে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার মুখে। বাগদা তৃণমূল মনিটরিং কমিটির সদস্য তরুণ ঘোষ বলেন, বাগদার বিজেপি বিধায়ককে কখনোই বিজেপির কোনও প্রোগ্রামে দেখা যায় না। যদিও তাঁকে নানা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম থাকতে দেখেছি। মনে হচ্ছে দলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক নেই। আগামীতে তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ব্য়াপার।


এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।