সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: বিরাটি শ্যুটআউটে তৃণমূল কর্মী খুনের পর এক সপ্তাহও কাটেনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ফের গুলি চলল উত্তর ২৪ পরগনায়! ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী নিশানায় চলে এলেন এক যুব তৃণমূল নেতা। গুলি আঙুল ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ায়, প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। হামলার দায়ভার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণের রাতে, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে শ্যুটআউটে খুন হন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত। তার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী নিশানায় এক যুব তৃণমূল নেতা। ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি চন্দন দাস। অভিযোগ, সোমবার রাতে রায় বাহাদুর রোডে বাড়ির কাছে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় অন্ধকার থেকে এসে এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।


তবে বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন চন্দন। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, হামলার আগে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতার চন্দন দাসের দাবি, এই ঘটনাটা প্রথম না। ২০২০ সালে আমার বাইকের ওপর হামলা। বাইক থেকে ফেলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে হামলা। পায়ে চোট লেগেছিল। পরশু রাতে একটা চিঠি ফেলা হয়। বেডরুমে ফেলা চিঠিতে ধমকি দেওয়া হয়, তুমি টাউনে আসতে চলেছ বা যুব সভাপতি নেতা হতে চলেছ, তোমাকে দেখে নেব। হিন্দি ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।


হামলার দায় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা উমাশঙ্কর সিংহ বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। ভটাপাড়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান ধরম পাল গুপ্ত বলেন, এটা আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। বিজেপিই এসব করছে। পুর নির্বাচন আসছে। বিজেপির কাউকে তৃণমূলে নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে হাড়োয়ার ট্যাংরামারিতে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান এক তৃণমূল কর্মী ও তৃণমূল সমর্থক এক বৃদ্ধা। ওই দিনই রাতে বিরাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক তৃণমূল নেতা।