বিশ্ববাংলা-বিতর্কে এবার সরাসরি মমতাকে আক্রমণ মুকুলের, পাল্টা তোপ তৃণমূলের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
25 Nov 2017 08:20 PM (IST)
NEXT
PREV
কলকাতা: বিশ্ববাংলা-বিতর্কে আরও চড়া সুর মুকুল রায়ের। দাবি করলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা পেশ করে আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতেই।
বিশ্ববাংলা থেকে জাগো বাংলা, মা-মাটি-মানুষ। ‘ট্রেড মার্ক’ বিতর্কে এতদিন অভিষেককে নিশানা করছিলেন মুকুল। শনিবার বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করলেন তিনি। দাবির স্বপক্ষে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন মুকুল। নথি দেখিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার কথা নয়। অভিষেকের হলফনামা। যেখানে বলা হয়েছে, তিনি নিজে কিছু করেননি। যা করেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রী ও অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনক্রমে।
মুকুলকে জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন এত কুৎসা করছেন। যে জীবনে একদিনও ভোটে দাঁড়াল না, তাকে পাড়ার মোড় থেকে রেলমন্ত্রী করা হল, জাহাজমন্ত্রী করা হল, দলের প্রধান করা হল, সব ক্ষমতা ভোগ করল, তারপর আমাদের লাথ মারল। এখন দল পাল্টেছে। ওখানে গিয়ে কি প্রধানমন্ত্রী হবে! তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মুকুলকে মিথ্যেবাদী বলেছেন। সমস্ত জাল পেপার তৈরি করে দলকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে মুকুল রায়, তোপ অনুব্রতর।
২১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার আদালত জানিয়েছিল, আপাতত বিশ্ববাংলা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না মুকুল রায়। এর প্রেক্ষিতে এদিন কৌশলী অবস্থান নেন মুকুল। বলেন, থার্ড পয়েন্টে বলা হয়েছে, কোথাও ভ্যালিড থাকলে রেসট্রিক্ট করতে পারবে না...যা যা বলেছিলাম তার ট্রেসেবেল লিঙ্ক আছে। তাই বলছি......আমার বক্তব্যে সত্যতা ছিল বলেই ১৩ তারিখ চিঠি দিয়ে তড়িঘড়ি ট্রেড মার্কের মালিকানার আবেদন প্রত্যাহারের আর্জি দেন অভিষেক।
মুকুলের এইসব অভিযোগের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। পার্থবাবু বলেন, এত বিজেপিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তবু বিজেপি নেতারা যখন বলেন, তখন বলতে হয়, নাহলে সবাই ভাববে দল কিছু বলছে না। এখন এদের লক্ষ্য পূর্ব ভারত। সঙ্গী সিবিআই ও ইডি। আর সঙ্গে রয়েছে বিভীষণ। এ নিয়ে তারা বাংলার বুকে মমতার নেতৃত্বে চলা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
বিশ্ববাংলা-বিতর্কে আগেই মুকুলের সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে তারা। সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সচিব। যদিও এদিনও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন মুকুল। পাল্টা তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝুড়িতে যে ফলে পচন ধরে, তখন সেই ফলবিক্রেতা সিদ্ধান্ত নেয়, ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়।
যদিও মুকুল বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি সুর নরম করবেন না। বিজেপি রাজ্য দফতরের সাংবাদিক বৈঠকের পর উলুবেড়িয়ার জনসভাতেও তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আপনারা বলতে পারেন, এতদিন কেন বলেননি? আমি বলছি, ২০১৫ সালেই বলতাম, যদি দিলীপদা বলতে দিতেন।
তৃণমূল অবশ্য ফের স্পষ্ট করে দিয়েছে মুকুলকে তারা এতটুকুও গুরুত্ব দিচ্ছে না। পার্থবাবু বলেন, আমি বলি ভাল করে প্র্যাকটিস করুন। ভাল কোচের আন্ডারে থাকুন।। এ কোচ তো নিজের বলেই গোল ঢুকিয়ে দেয়। এত বড় কোচ, যে একদিনও ফুটবলে পা দিল না। একবারও নির্বাচনে দাঁড়াল না। সে এক বিরাট নেতা। তার কোচিংয়ে বর্গিবাবু-দিলীপ বাবুরা ভাবছেন বাংলা জয় করবেন!
কলকাতা: বিশ্ববাংলা-বিতর্কে আরও চড়া সুর মুকুল রায়ের। দাবি করলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা পেশ করে আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতেই।
বিশ্ববাংলা থেকে জাগো বাংলা, মা-মাটি-মানুষ। ‘ট্রেড মার্ক’ বিতর্কে এতদিন অভিষেককে নিশানা করছিলেন মুকুল। শনিবার বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করলেন তিনি। দাবির স্বপক্ষে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন মুকুল। নথি দেখিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার কথা নয়। অভিষেকের হলফনামা। যেখানে বলা হয়েছে, তিনি নিজে কিছু করেননি। যা করেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রী ও অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনক্রমে।
মুকুলকে জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন এত কুৎসা করছেন। যে জীবনে একদিনও ভোটে দাঁড়াল না, তাকে পাড়ার মোড় থেকে রেলমন্ত্রী করা হল, জাহাজমন্ত্রী করা হল, দলের প্রধান করা হল, সব ক্ষমতা ভোগ করল, তারপর আমাদের লাথ মারল। এখন দল পাল্টেছে। ওখানে গিয়ে কি প্রধানমন্ত্রী হবে! তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মুকুলকে মিথ্যেবাদী বলেছেন। সমস্ত জাল পেপার তৈরি করে দলকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে মুকুল রায়, তোপ অনুব্রতর।
২১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার আদালত জানিয়েছিল, আপাতত বিশ্ববাংলা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না মুকুল রায়। এর প্রেক্ষিতে এদিন কৌশলী অবস্থান নেন মুকুল। বলেন, থার্ড পয়েন্টে বলা হয়েছে, কোথাও ভ্যালিড থাকলে রেসট্রিক্ট করতে পারবে না...যা যা বলেছিলাম তার ট্রেসেবেল লিঙ্ক আছে। তাই বলছি......আমার বক্তব্যে সত্যতা ছিল বলেই ১৩ তারিখ চিঠি দিয়ে তড়িঘড়ি ট্রেড মার্কের মালিকানার আবেদন প্রত্যাহারের আর্জি দেন অভিষেক।
মুকুলের এইসব অভিযোগের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। পার্থবাবু বলেন, এত বিজেপিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তবু বিজেপি নেতারা যখন বলেন, তখন বলতে হয়, নাহলে সবাই ভাববে দল কিছু বলছে না। এখন এদের লক্ষ্য পূর্ব ভারত। সঙ্গী সিবিআই ও ইডি। আর সঙ্গে রয়েছে বিভীষণ। এ নিয়ে তারা বাংলার বুকে মমতার নেতৃত্বে চলা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
বিশ্ববাংলা-বিতর্কে আগেই মুকুলের সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে তারা। সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সচিব। যদিও এদিনও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন মুকুল। পাল্টা তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝুড়িতে যে ফলে পচন ধরে, তখন সেই ফলবিক্রেতা সিদ্ধান্ত নেয়, ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়।
যদিও মুকুল বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি সুর নরম করবেন না। বিজেপি রাজ্য দফতরের সাংবাদিক বৈঠকের পর উলুবেড়িয়ার জনসভাতেও তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আপনারা বলতে পারেন, এতদিন কেন বলেননি? আমি বলছি, ২০১৫ সালেই বলতাম, যদি দিলীপদা বলতে দিতেন।
তৃণমূল অবশ্য ফের স্পষ্ট করে দিয়েছে মুকুলকে তারা এতটুকুও গুরুত্ব দিচ্ছে না। পার্থবাবু বলেন, আমি বলি ভাল করে প্র্যাকটিস করুন। ভাল কোচের আন্ডারে থাকুন।। এ কোচ তো নিজের বলেই গোল ঢুকিয়ে দেয়। এত বড় কোচ, যে একদিনও ফুটবলে পা দিল না। একবারও নির্বাচনে দাঁড়াল না। সে এক বিরাট নেতা। তার কোচিংয়ে বর্গিবাবু-দিলীপ বাবুরা ভাবছেন বাংলা জয় করবেন!
রাজ্য (states) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -