অভিযোগ, ভালবাসার এই মানুষটিই বার বার আঘাত করতেন সুরজিৎকে। সুরজিতের বাবা সুবোধ মজুমদার হাঁটতে পারেন না। হুইল চেয়ারই ভরসা। হুইল চেয়ারে ঘুরে ঘুরেই বাদাম বিক্রি করেন। কোনও রকমে চলে সংসার। অভিযোগ, এ নিয়েই বার বার সুরজিৎকে খোটা দিতেন তাঁর প্রেমিকা চিত্রলেখা। বলতেন,প্রতিবন্ধী বাবা এবং মাকে না ছাড়লে বিয়ে করব না।
পরিবারের দাবি, এরই মাঝে, বুধবার, জন্মদিন উপলক্ষ্যে চিত্রলেখা তাঁর বাড়িতে সুরজিৎকে ডাকেন।প্রেমিকার জন্য নতুন চুড়িদার, শোপিস নিয়ে গিয়েছিলেন সুরজিৎ। কিন্তু, অভিযোগ, সুরজিৎ পৌঁছতেই তাঁকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন প্রেমিকা। যোগ দেন তাঁর মা-বাবাও। যুবককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
এই চরম অপমান আর সহ্য করতে পারেননি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নিয়ে ফেলেন চরম সিদ্ধান্ত। মৃত যুবকের বাবা সুবোধ মজুমদার এই দাবি করেছেন।
সুরজিতের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেখানে সরাসরি প্রেমিকা ও তাঁর মা-বাবার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
সুরজিতের পরিবারে দাবি, আত্মঘাতী হওয়ার আগে হোয়াটসঅ্যাপে শেষমুহূর্তের ছবি তুলে প্রেমিকাকে পাঠিয়েছিলেন সুরজিৎ। কিন্তু, প্রেমিকা কোনও পাত্তাই দেননি।
শুক্রবার ধানতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত প্রেমিকা এবং তাঁর মা-বাবা, তিনজনেই পলাতক।