দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৫৫ বছরের প্রৌঢ়াকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাড়ি থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত।

গরিবের সংসার! নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।প্রতিবেশীর নিমন্ত্রণে ভালমন্দ খাওয়ার আশায় গিয়েছিলেন। কিন্তু নিমন্ত্রণের পিছনে যে প্রতিবেশীর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বছর ৫৫-এর এই প্রৌঢ়া।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বড় দুমকির বাসিন্দা এই প্রৌঢ়াকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বছর ৪৫-এর চন্দন নস্করের বিরুদ্ধে।

প্রৌঢ়ার পরিবারের দাবি, রবিবার দুপুরে ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ জানান প্রতিবেশী চন্দন নস্কর। সেই মতো দুপুরে চন্দনের বাড়িতে যান মহিলা। বাড়িতে সেইসময় একাই ছিলেন চন্দন। প্রৌঢ়ার অভিযোগ, বাড়িতে যাওয়ার পরেই তাঁকে জোর করে মাদক খাইয়ে বেসামাল করে দেয় চন্দন। তারপর ধর্ষণ।

নির্যাতিতার মেয়ের অভিযোগ, তাঁর মায়ের ওপর এত অত্যাচার করা হয় যে তিনি সন্ধে পর্যন্ত উঠতেই পারেননি। রাত ৮ টা নাগাদ কোনওরকমে বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে সমস্ত ঘটনা জানান নির্যাতিতা।

মায়ের ফোন পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে এসেছেন মেয়ে। রাতেই ক্যানিং থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ।

যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই চন্দন নস্করকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁকে রাজনীতির কারণে ফাঁসানো হচ্ছে।ফাঁসানোর অভিযোগ করলেও তিনি  কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক, তা পরিস্কার করে বলেনি অভিযুক্ত। সোমবার তাকে ক্যানিং মহকুমা আদালতে তোলা হয়।