অথচ তার তিন দিনের মধ্যে একেবারে কলেজের স্টাফরুমে ঢুকে, মাথায় রিভালভার ঠেকিয়ে অধ্যাপককে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার শান্তিপুর কলেজ। এখানেই শেষ নয়, অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও প্রাণনাশের হুমকির দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন অধ্যক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। কলেজের স্টাফরুমে বসেছিলেন গণিতের অধ্যাপক অমরজিৎ কুণ্ড। অভিযোগ,
হঠাৎই চড়াও হয় ১৫-২০ জন বহিরাগত। কলেজ পরিচালন সমিতির ভোটে যাতে না দাঁড়াই, মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর অধ্যাপককে সবার সামনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, অধ্যাপককে হুমকি-মারধরের পর বহিরাগতদের শাসানির মুখে পড়েন অধ্যক্ষও। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ থাকলেও তারা কলেজে ঢোকেনি।
বুধবার কলেজের পরিচালন সমিতির ভোটে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড়ানোর কথা অমরজিৎ কুণ্ডুর। এর আগে ১৯ তারিখে অমরজিৎ-সহ ২ অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপর এই ঘটনা। আতঙ্কে ভুগছেন শান্তিপুর কলেজের অধ্যাপকরা।প্রশ্ন উঠছে, কলেজের গেটে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকল বহিরাগতরা?
কয়েকদিন আগে জয়পুরিয়া কলেজে সান্ধ্য বিভাগের ইনচার্জ ও কেশপুর কলেজের শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এবার শান্তিপুর কলেজের অধ্যাপককে মাথায় রিভলভাল ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ। কিন্তু, কেন এভাবে বারবার আক্রান্ত হতে হবে শিক্ষকদের?