কলকাতা: রাজ্যে দুর্যোগের বলি ৭। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর টবাজারে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন ছেলে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িদাহত হন মা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।


হাওড়ার দাশনগরে বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় মিটার বক্সের মেন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন ৩৫ বছরের যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানা এলাকার পাথরডোবা গ্রামে মাটির বাড়ি দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় ৬৫ বছরের গৃহকর্তার।


মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জেও মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের গৃহকর্ত্রীর। এদিকে কালিম্পঙের মামখোলায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন গতকাল রাত ২টো নাগাদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ধস নামে। মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। ৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ আরও ২ শ্রমিক।


জল জমার ফলে একাক জায়গায় জলা জমার ছবি। জেলার একাধিক নদীতে জল বেড়েছে। দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শালী নদীতে জলস্তর বাড়ায় তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ইন্দাস ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমেছে। শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় সকাল থেকে জঙ্গলমহলের সঙ্গে বাঁকুড়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।  


অন্যদিকে, বারাসাত পুর-এলাকায় রাস্তাঘাট জলমগ্ন। বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। প্রতিবার বৃষ্টিতে জল জমে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। দ্রুত জল নামানোর আশ্বাস দিয়েছে বারাসাত পুরসভা। জমা জলে নাজেহাল হাওড়ার পঞ্চাননতলা এলাকার বাসিন্দারা। জলমগ্ন হাওড়ার জয়পুর থানা এলাকাও।


অন্যদিকে, শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভোতখালি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। উদ্ধারকাজ এনডিআরএফকে নামানো হতে পারে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে।