উত্তর ২৪ পরগনা: এবার রাজ্য়ে চালু হল অক্সিজেন বাস পরিষেবা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হল এই পরিষেবা। 


বারাসাত সদর হাসপাতাল, বনগাঁ জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতাল, পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতাল, জেলার এই পাঁচটি হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে বাস। 


ওই বাসে থাকবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর।  প্রয়োজনের ভিত্তিতে মিলবে অক্সিজেন পরিষেবা। 


হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনও রোগী এলে অনেক সময় তাঁদের হাসপাতালে রাখার মতো বেড থাকে না। এরকম পরিস্থিতি হলে সেই সব রোগীকে সেই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন বাস সেই সাপোর্ট দেবে সেইসব রোগীদের। 


বারাসাত সদর হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, বাস রাখা থাকবে পাঁচ হাসপাতালের সামনে। ইমারজেন্সিতে রোগী এলে সেক্ষেত্রে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হবে। জেলা শাসকের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা। 


দেশজুড়ে অতিমারীতে অক্সিজেনের আকালে ত্রাহি ত্রাহি রব। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। 


গত পরশু, অর্থাৎ, ২৭ তারিখ, মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বসে লিক্যুইড অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে তরল অক্সিজেন এনে ট্যাঙ্কে ভরা হয়।


২৩ তারিখ সোনারপুরে দুয়ারে অক্সিজেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। প্রয়োজনের কথা জানালে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে অক্সিজেন সিলিন্ডার। 


এর জন্য ১০টা অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেপার মেশিন, অক্সিমিটার-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম। প্রয়োজন হলে করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তিরও ব্যবস্থা করা হবে, জানিয়েছেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র। 


কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে বাংলায় আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার ১৯৩ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের।


জেলাতেও সংক্রমণ নিম্নমুখী। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ হাজার ৫২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ১ হাজার ৮৫৭। মারা গেছেন ৩০ জন।