কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে অবিরাম হিংসার প্রতিবাদে এদিন সোচ্চার হন একদা পরিবর্তনপন্থী বিদ্বজ্জনরা। উদ্বেগপ্রকাশ করার পাশাপাশি, রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধের আহ্বান জানান। শুধু তাই নয়। হিংসার জন্য শাসক দলকেও দায়ী করেন তাঁরা। গণতন্ত্র বিকলাঙ্গ হয়েছে বলেও আক্রমণ করেন।
আর এই প্রেক্ষিতে বিদ্বজ্জনদের পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিরোধী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, স্বার্থরক্ষার জন্য নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়েছিলেন। এখন উপলব্ধি হয়েছে অনেক দেরিতে। এখন হতাশা প্রকাশ করে লাভ কী? তাঁর দাবি, বিদ্বজ্জনেদের সত্ সাহস থাকলে ফের রাস্তায় নামুন। মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করার জন্য সর্বসমক্ষে ভুল স্বীকার করুন বিদ্বজ্জনেরা। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা ক্ষমা চান।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসক দলের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ তোলেন দিলীপ। বলেন, পুরুলিয়ার বলরামপুরে কর্মীদের আটক করে মারধর করা হয়েছে। আমরাও প্রতিরোধ করেছি। গুণ্ডা দিয়ে আটকাতে না পারলেও পুলিশ আটকাচ্ছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। বলেন, একাধিক জেলায় সন্ত্রাস চলছে। বীরভূমে ভয় দেখাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সন্ত্রাস চলছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বলেন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, কল্যাণের কোনও কথা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূলকে থাপ্পড় খেতে হয়েছে।
এদিন, কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির বিরুদ্ধে তথ্য লুকনোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, সেই তথ্য হাইকোর্টের কাছে লুকিয়েছে বিরোধী দল। এর জবাবে দিলীপ বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্য লুকনোর কথা মিথ্যা। উল্টে বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, নির্বাচন কমিশনারকেও ভুল তথ্য দিচ্ছেন কল্যাণ। অবাধ নির্বাচন ও নিশ্চিন্তে ভোটগ্রহণের জন্যই হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা।