কলকাতা: বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। শুক্রবারই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল তৃণমূল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করেন মামলা। এজলাসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য। বিচারপতিরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী চান?
কমিশনের সচিব তখন বলেন, সিঙ্গল বেঞ্চ আপাতত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আমরা এনিয়ে মামলা করতে চাই। বিচারপতিরা মামলা গ্রহণ করে জানান, শুনানি হবে সোমবার।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। শুক্রবারই মামলার শুনানি হোক। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার তখন বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমি আদালতের কোনও নিয়মের অন্যথা করিনি। এখনও করব না।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এরপরও অনুরোধের সুরে বলেন, জানি শনিবার আদালত বন্ধ থাকে। তাও যদি বিশেষ বন্দোবস্ত করে শুনানি চালানো যায়। বিচারপতিরা অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, শুনানি সোমবারই হবে।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গল বেঞ্চও সোমবার পর্যন্তই ভোট প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সোমবার আদালত কী বলে, তার ওপরই নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষিত সূচি অনুযায়ী হবে, না পিছোবে। তৃণমূল অবশ্য জানিয়েছে, তারা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপিও।
শুক্রবার সিপিআইয়ের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারেনি, এই অভিযোগ জানিয়ে তারা পঞ্চায়েত ভোট পিছনোর আর্জি জানিয়েছে।