স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বর রেলগেটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ৪০ মিনিট মিনিট বন্ধ ছিল রেলগেট। ১০ বছর বয়সি রিমা সাহাকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন তার অভিভাবকরা। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের করলা অঞ্চলের বাসিন্দা। রেলগেট বন্ধ থাকায় আটকে যায় তাঁদের গাড়ি। আগে থাকতেই অসুস্থ ছিল শিশুটি, পাণ্ডবেশ্বরে দীর্ঘক্ষণ গাড়ির মধ্যে আটকে থাকায় সে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার অবস্থা দেখে অভিভাবকরা এবং স্থানীয় লোকজন রেলগেটের দায়িত্বে থাকা কর্মীকে গেট খুলে দেওয়ার কাতর অনুরোধ জানান। কিন্তু দায়িত্বের অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট রেলকর্মী গেট খুলতে অস্বীকার করেন। সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছতে না পারার জন্য রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়েই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা স্টেশন ম্যানেজার সুনীল কুমার মন্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। একইসঙ্গে রেলগেটের দায়িত্বে থাকা কর্মীর শাস্তির দাবিও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সবারই অভিযোগ, কারণে-অকারণে সারাদিনই বহুবার রেলগেট বন্ধ থাকে। তার ফলে সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় না। যানজট এড়াতে ফ্লাইওভারের দাবিও জানান তাঁরা।
স্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর যদি এই রেলগেটে কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।