দুর্গাপুর: ২০১৭ থেকে ২০২০-মাত্র তিন বছরের ব্যবধান!ফের একবার ভাঙল দুর্গাপুর ব্যারাজের লকগেট। হু-হু করে বেরিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কিউসেক জল। জলশূন্য হলেই সারানো যাবে লকগেট, জানাল সেচ দফতর। কাল সকালের মধ্যে মেরামতির আশ্বাস সেচমন্ত্রীর।


শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা...হঠাত্‍ই ভেঙে যায় দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেট....

খবর পেয়ে একে একে ঘটনাস্থলে আসেন দুর্গাপুর পুরসভা, পুলিশ, সেচ দফতরের আধিকারিকরা।

১৯৫৬ সালে দুর্গাপুর ব্যারাজ তৈরি করে ডিভিসি। কয়েকবছর পর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সেচ দফতরের হাতে।

সেচ দফতরের  সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়র দেবাশিস বড়ুয়া বলেছেন, ১৯ ফুট লম্বা ৬০ ফুট চওড়া বাধ। মেরামত করতে ২ দিন লাগবে। ৮ হাজার একর ফুট জল ধরে। সব জল বেরিয়ে যাওয়ার পর মেরামতি হবে। আমাদের কাছে বিকল্প গেট আছে।

দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল যাতে দ্রুত বেরিয়ে যায়, তারজন্য ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর গেটও খুলে দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্গাপুর ব্যারাজ হচ্ছে ভার্টিকাল লিফটেড স্টিলওয়ে টাইপের।

জলের ওপর থাকা দুটি পিলারের মাঝে থাকা চ্যানেলের মধ্যে গেট বসানো থাকে। ভার্টিকালি উঠিয়ে বা নামিয়ে গেট বন্ধ বা খোলা হয়।

সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, শনিবার রাত বা রবিবার সকালের মধ্যে নতুন গেট বসানোর চেষ্টা হচ্ছে।

শনিবার বিকেল থেকেই লকগেট মেরামতির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আনা হয় ক্রেন। শুরু হয় বাঁধের ধারের মাটি দেওয়ার কাজ।