প্রকাশ সিনহা, কলকাতা :  দিন যত এগোচ্ছে, ততই আরও বেশি করে এজেন্সির জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের  অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ( Manik Bhattacharya ) । এজেন্সির জালে এখন মানিক ভট্টাচার্য। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসছে । ইডি এর আগে দাবি করে, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এবার আরও বড় অভিযোগ করেছে ইডি।


চোখ বন্ধ করে বসেছিলেন পার্থ
ED র বিস্ফোরক অভিযোগ,  মানিকের দুর্নীতি সম্পর্কে সব জেনেও চোখ বন্ধ করে বসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee )  ! অনলাইন ক্লাসের নামে মানিকের প্রতারণার হাত থেকে ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যাচ্ছে, মানিক সম্পর্কে যে অভিযোগ এসেছে, তা তাঁকেই পাঠিয়ে দিয়েছেন পার্থ ! আদালতে এই দাবি করেছেন ইডি-র  ( ED ) আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি চলছে, মানিক যে তাতে জড়িত ছিলেন, সে সম্পর্কে পুরোটাই জানতেন পার্থ। কিন্তু সব জেনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেননি। আদালতে দাবি ইডি-র।  

মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলের বয়ান
ED আরও  দাবি করেছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের একাধিক সদস্যর সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে। যেমন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের খোঁমৃত্যুঞ্জয়ের ছেলের বয়ানজ মিলেছে। ২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর।   নিয়েছে ED। তিনি বয়ানে বলেছেন যে, তাঁর বাবার কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তিনি জানতেন না। ২০১৯ সালে, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ব্যাঙ্কে যে কেওয়াইসি (KYC) জমা দিয়েছিলেন, তাতে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মারা যাওয়ার বিষয়টি বলেননি। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর পরেও তাঁর কেওয়াইসি (KYC) আপডেট এবং পানকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।