Rajib Banerjee: 'রাজীবকে দলে ফেরানো যাবে না', পোস্টার হাতে হাওড়ায় মিছিল তৃণমূল কর্মীদের

এর আগে, রাজীবের বিরুদ্ধে পরপর পোস্টার পড়ছে তাঁরই নির্বাচনী এলাকা ডোমজুড়ে

Continues below advertisement

কলকাতা: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল ফেরানো যাবে না। বিজেপি নেতার তৃণমূলে ফেরার বিরোধিতা করে এবার পথে নামলেন তৃণমূল কর্মীরা। 

Continues below advertisement

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে এদিন ডোমজুড়ের সলপ বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার মিছিল করে এসে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন তাঁরা। 

সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডোমজুড়ের সলপ বাজারের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা হাতে পোস্টার ও ফ্লেক্স নিয়ে হাওড়া আমতা রোডের উপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। 

বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁকে কোনওমতেই দলে ফেরানো যাবে না। 

তাঁরা বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। এখন যেভাবে তিনি দলে ফেরার চেষ্টা করছেন তা মোটেই মেনে নেওয়া যাবে না।

এনিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনায় ডোমজুড়ের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়ে। 

এর আগে, রাজীবের বিরুদ্ধে পরপর পোস্টার পড়ছে তাঁরই নির্বাচনী এলাকা ডোমজুড়ে। সেখানে ,  প্রাক্তন বনমন্ত্রীর নাম নাম করে লেখা হয় বাংলায় বিশ্বাসঘাতকদের কোনও ঠাঁই হবে না। 

পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়ে সেচ দফতরে তদন্ত কমিটি গড়ে বিশ্বাসঘাতকদের গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়। 

০১১ ও ২০১৬, পরপর দুই বিধানসভা নির্বাচনে ডোমজুড় থেকেই তৃণমূলের হয়ে জিতে বিধায়ক হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সেচ ও বন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। 

কিন্তু, ২০২১-এর ভোটের আগেই পথ বদলান রাজীব। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির টিকিটে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু, পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। 

রাজীবকে কটাক্ষ করেন সৌগত রায়ও। বলেন, নির্বাচনে একজন স্থানীয় নেতার কাছে হেরে গেছেন দশ বছরের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর মূল্য এখন শূন্য। 

তিনি জানালেন, তৃণমূল খোলামেলা দল। নেতাদের বাড়িতে যে কেউই যেতে পারেন। তাতে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয় না।  তবে দলে ফেরানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রীই।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola