বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : ফের বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব। এবার অভিযোগ উঠল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে আজ অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মেইন গেটে তালা বন্ধ করে দিতে যায়। কিন্তু পুলিশের বাধায় তালা না দিতে পেরে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক ঘণ্টা ধরে।
সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের অর্জুনি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের পঞ্চায়েত প্রধান বাদল চন্দ্র মাহাতোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। শাসকদলের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ দফা দাবি জানিয়ে একটি ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে যে, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অফিসের মেইন গেটে তালা বন্ধ করে দিতে গেলে পুলিশ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সেই কাজে বাধা দেয়। বাধা দেওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ।
অর্জুনি অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হিরণময় গোস্বামী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের যৌথ উদ্যোগে আমরা আজ পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। তিনি দুর্নীতিযুক্ত কাজ করছেন। বাংলা আবাস যোজনার কাজ সঠিকভাবে বন্টন করা হচ্ছে না। একশো দিনের কাজ সঠিক মানুষকে দেওয়া হচ্ছে না। বিগত দিনে আমরা যে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম, তার এখনো কোনো সদুত্তর পাইনি।' এছাড়া তিনি আরও বলেন যে, 'অনেকদিন ধরেই পঞ্চায়েত প্রধানের কার্যকলাপে এলাকার মানুষ খুশি নয়। তাই বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে আজ আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমরা বললাম আমাদের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়ার সদুত্তর দিতে হবে। তিনি বললেন আমাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তিনি কুড়ি দিনের মধ্যে দেবেন।'
যাঁকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে এত দ্বন্দ্ব চলছে, সেই অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাদল চন্দ্র মাহাতো এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ওঁদের বিক্ষোভ করা উচিত হয়নি। জানি না কী কারণে ওরা বিক্ষোভ করেছে। ওরা যে সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে আমার কাছে উত্তরের জন্য এসেছিল, আমরা তো তার জন্য কুড়ি দিন সময় চেয়েছি। বলে দিয়েছি কুড়ি দিনের মধ্যে ওদের সমস্ত তথ্যের জবাব দেব। এখন ওরা তালাও দিতে পারে। আমি বাইরে বেরোইনি। তাই আমার এসব সম্পর্কে বিশেষ জানা নেই। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি। দুর্নীতি হচ্ছে বলে যদি কোনও অভিযোগ ওঠে, তাহলে আমাকে খোঁজ খবর করে জানতে হবে।'