জলপাইগুড়ি: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসায় মারাত্মক গাফিলতি। মুমূর্ষু রোগীর নাকে খালি অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল লাগানোয় মৃত্যু। মর্মান্তিক এই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়িতে।
৬৫ বছরের ক্ষীতীশ ধরকে ২৪ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, চিকিৎসক ও নার্সরা প্রৌঢ়র নাকে যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল লাগান, সেটি খালি ছিল। মৃতের ছেলে বিজয় ধর বলেন, বাবার শ্বাসকষ্ট ছাড়া সমস্যা ছিল না। কিন্তু, অক্সিজেন ছিল না। ৬৫ বছরের ক্ষীতীশ ধরের ছেলের দাবি, বিষয়টি জানালে চিকিৎসক বলেন, চিকিৎসা শুরুর জন্য আগে বন্ডে সই করতে হবে। তা করার পর চিকিৎসক আবার বলেন, রোগীর হার্টে সমস্যা রয়েছে। একটি ইঞ্জেকশনও দেন। এর কিছুক্ষণ পরই ৬৫ বছরের ক্ষীতীশ ধরের মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী রমা ধর বলেন, অক্সিজেন ছিল না। অবনতি হচ্ছিল। ইঞ্জেকশন দেয়। তারপর মৃত্যু।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই অভিজ্ঞতার পর মৃতের পরিবার এতটাই আতঙ্কে যে, ভবিষ্যতে এখানে আর চিকিৎসাই করাতে চান না তাঁরা। মৃতের স্ত্রী বলেন, ছেলেকে বলেছি, অসুস্থ হলে যেন সুপার স্পেশালিটিতে না ভর্তি করে।
রোগীর নাকে খালি অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল লাগানো বা চিকিৎসার আগে বন্ডে সই করানোর অভিযোগ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। তিনি বলেন, এটা হয়ে থাকলে তদন্তের নির্দেশ দেব চেয়ারম্যানকে বলব। পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।
মৃতের পরিবার বলছে, পরিষেবার এই হাল হলে সুপার স্পেশালিটি নাম দিয়ে কী লাভ! ক্ষতি যা হওয়ার তো হয়েই গেল!