কিন্তু হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর এই সরকারি অনুষ্ঠান ঘিরেই তুঙ্গে আমন্ত্রণ-বিতর্ক। আমন্ত্রণই পেলেন না তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল। এই ঘটনার পিছনে সংকীর্ণ রাজনীতি দেখছেন তিনি। যদিও এর মধ্যে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি। বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।
দলীয় অনুষ্ঠানে প্রায়শই ডাক না পেয়ে ক্ষোভের কথা শোনা যায় নেতা-নেত্রীদের মুখে। অসৌজন্যের সেই অভিযোগই উঠল এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে!
রবিবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুষ্ঠানে ডাক পাননি খোদ তৃণমূল পরিচালিত হলদিয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন নবনির্বাচিত পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল।
তাঁর অভিযোগ সরকারি অনুষ্ঠানেও রাজনীতি করা হচ্ছে। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল জানান, ‘আমন্ত্রণ পাইনি। প্রধানমন্ত্রী সবার, সেই অনুষ্ঠানে ডাক পাইনি। সংকীর্ণ রাজনীতি করা হচ্ছে। যা যা চাওয়া হয়েছিল দিয়েছি ৷ কিন্তু তারপরেও সংকীর্ণ রাজনীতি করা হচ্ছে।’
যদিও এ নিয়ে রাজনীতি দেখছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রাজনীতির কোনও ব্যপার নেই। সকলেরই আসা উচিত ৷’
বিষয়টি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছে অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন বা আইওসি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অরূপ দাস জানান, ‘বিষয়টি জানা নেই।’
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়তেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ক্রমেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী থাকবেন বলেই জানা গেছে। রবিবার সরকারি অনুষ্ঠানের পর হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানে একটি রাজনৈতিক সভাতেও যোগ দেবেন মোদি।