নয়াদিল্লি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের নতুন  শিক্ষানীতির পক্ষে জোর সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য নতুন শিক্ষানীতি জরুরি। 


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের বর্তমান শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দিচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে নতুন শিক্ষানীতি জরুরি।’ 


নতুন গবেষণার জন্য আগামী ৫ বছর ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব দেন প্রধানমবন্ত্রী। বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষায় সামিল করা হবে ছাত্রীদেরও। ডিগ্রি কোর্স থেকে বিরতি নেওয়ারও স্বাধীনতা থাকছে।’


এদিন ভারতের শিক্ষা ও মেধার ইতিহাসকে স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘২০০ বছর আগে ভারতে শিক্ষিতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তখন মন্দিরেও শিক্ষাদান হত। তখনকার দিনে রাজারা মহাবিদ্যালয় গড়তেন। তখনকার ভারতে উচ্চশিক্ষার সংস্থানও ছিল।’


তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘১৮৩০ সালে বাংলা-বিহারে এক লক্ষের উপর গ্রামীণ বিদ্যালয় ছিল। বিশ্বভারতীতে গুরুদেবের শিক্ষানীতি, ভারতকে আধুনিক বানিয়েছে।’


এই প্রেক্ষিতে নাম না করে শিক্ষানীতির বিরোধিতা করায় বিরোধীপক্ষকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘জ্ঞান ও ক্ষমতা আসে দায়িত্ববোধ থেকে। ক্ষমতায় থাকলে সংযমী ও ধৈর্যশীল হওয়া জরুরি।' 


মোদির কটাক্ষ, ‘দেশকে অগ্রাধিকার দিলে, সমস্যার সমাধান আপনিই খুঁজবেন। সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যুবক সম্প্রদায়ের। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেব আমরা।’


প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘আপনার চিন্তাধারা সমাজকে গৌরবান্বিত করে। তেমনি আপনার চিন্তাধারা সমাজকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করতে পারে। আপনার মানসিকতা সদর্থক রাখতে হবে। শুধু স্বার্থ দেখলে, চারপাশে আপনি সমস্যাই দেখবেন।’


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI