বর্ধমান: নতুন করে অগ্নিগর্ভ আউশগ্রাম। ভাঙচুর করে থানায় আগুন, হামলা ব্যারাকেও। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। আটক ১৭। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের পর উর্দিধারীদের অসহায় চেহারা দেখা গেল বর্ধমানের আউশগ্রামে। একটি স্কুলের জমিতে অবৈধ নির্মাণকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। থানা চত্বরে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অবরোধ চলাকালীন লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেই ক্ষোভের আঁচই শনিবার আছড়ে পড়ে আউশগ্রামে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, এদিন স্কুল খোলার পরই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েক হাজার লোক ইট ও লাঠি নিয়ে থানায় চড়াও হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। থানা চত্বরে থাকা একাধিক গাড়ি ও বাইক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। থানার একটি খড়ের ঘরেও আগুন লাগিয়ে উন্মত্ত জনতা।
থানার মধ্যেও চলে বেপরোয়া ভাঙচুর! কম্পিউটার, টেলিফোন, টিভি থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা, চেয়ার-টেবিল, বাদ যায়নি কিছুই।
থানায় হামলা দেখেও কিছুই করার ছিল না পুলিশের। সূত্রের খবর, মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন পুলিশকর্মী থানা ছেড়ে পালিয়ে যান। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ডিউটি অফিসার দীপককুমার পাল ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ছুঁড়ে বাইরে ফেলে দেওয়া হয় থানার বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। থানা লাগোয়া পুলিশ আবাসনেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে বাড়তি বাহিনী নিয়ে আউশগ্রামে পৌঁছন পুলিশ সুপার। কিছুক্ষণ পর আউশগ্রামে যান জেলাশাসক এবং বর্ধমান রেঞ্জের আইজি। তাণ্ডবের পর থানায় যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে raf, কমব্যাট ফোর্স। থানায় হামলার পর গোটা এলাকা থমথমে। চলছে পুলিশি টহল।