কলকাতা: বসিরহাটের অশান্তি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। অশান্তিতে মৃতের পরিচয় ঘিরে শুরু রাজনীতি। বিজেপির দাবি, কার্তিক ঘোষ নামে নিহত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এদিন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আরজি কর হাসপাতালে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা। দিলীপের গাড়িতে চাপড় মারেন তাঁরা।


বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মৃত ব্যক্তি তাঁদের দলের কর্মী বলে দাবি করলেও পাল্টা খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির হলে ওখানে কেন গেছিল?
বুধবার বসিরহাটের অশান্তির মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হন সেখানকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার আর জি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আর জি কর হাসপাতালে যান বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ইমার্জেন্সির গেটের সামনেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে বেরোতেই লকেটকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু তৃণমূল।

তৃণমূল সমর্থকরা লকেট চট্টোপাধ্যায় ও শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে বিজেপির অভিযোগ।
লকেট বেরিয়ে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আর জি কর হাসপাতালে আসেন দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। হাসপাতালের বাইরেই তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা।

প্রায় আধঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকার পর হাসপাতালের গেট থেকেই ফিরে যান দিলীপ-কৈলাসরা। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অন্য রোগীদের কথা ভেবেই বিজেপি নেতাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
যাঁকে নিয়ে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সেই কার্তিক ঘোষের পরিবার এসবে রীতিমতো বিরক্ত। তাঁদের দাবি, কার্তিক কোনও দল করতেন না।

হাসনাবাদে ছোটখাটো একটি কাজ করতেন কার্তিক। ন’জনের সংসারে তিনি একাই ছিলেন রোজগেরে। এখন তিনি চলে যাওয়ার পর কীভাবে দু’বেলা খাওয়া জুটবে, বুঝে উঠতে পারছেন না এই মানুষগুলো। স্বজনহারা এই পরিবারের প্রশ্ন, এ কোন রাজনীতি, যা মানুষের মৃত্যুকেও ছাড়ে না!