কালনা (পূর্ব বর্ধমান): মাত্র কয়েক মিনিটের মেকওভার। আর তাতেই পচা আলু হয়ে যাচ্ছে একেবারে টাটকা। গায়ে লেগে মাটি দেখেই মনে হবে, সবেমাত্র ক্ষেত থেকে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু, আসলে পুরোটাই হচ্ছে রাসায়নিক মেশানোর ফলে। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এরকমই আলুতে রাসায়নিক মেশানোর চক্রের পর্দা ফাঁস। বাজেয়াপ্ত প্রায় ৪০ বস্তা রাসায়নিক।
শুক্রবার কালনার পাতিলপাড়া ও সেনেরডাঙায় ২টো আলুর গোডাউনে হানা দেন জেলা কৃষি দফতরের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির আধিকারিকরা। সেখানেই চলছিল আলুতে রাসায়নিক মেশানোর কাজ। সূত্রের খবর, প্রথমে এলা মাটির সঙ্গে রং ও নিষিদ্ধ রাসায়নিক মেশানো হত।
তারপর পচা ও দাগী আলুর ওপর সেই মিশ্রণ লাগিয়ে দিতেই রূপ বদলে যেত আলুর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাসায়নিক শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পূর্ব বর্ধমান নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির আধিকারিক সুধাংশুসিংহ রায় বলেন, এলা মাটির মধ্যে রং ও রাসায়নিক মেশানো। এটা নিষিদ্ধ। মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতেও, আলুর এই কারিকুরি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।
অভিযানের পর থেকেই গোডাউনের দুই মালিক মন্টু শেখ ও সঞ্জীব কোলে পলাতক। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। কালনা থানায় বাজার কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকমাস ধরেই এই দুই গোডাউনে পচা আলুর সঙ্গে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো হচ্ছিল। আর নাম বদলে সেই পচা আলুই কখনও চন্দ্রমুখী, আবার কখনও জ্যোতি সেজে চলে যাচ্ছিল বাজারে।