সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ৩ দিন ধরে বন্ধ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। ফলে পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে রোগীদের। কেন এই অবস্থা? এই কাজের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে ৩০ জন নার্সকে নিয়োগ করা হয়েছিল। চুক্তি শেষ হওয়ায় সমস্যা, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


করোনা আবহে নমুনা পরীক্ষায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। আর ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই হাসপাতালে বন্ধ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। জরুরি বিভাগে কোভিড পরীক্ষার ঘরে তালা। পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি নেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এই ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চলতি বছরের শুরু থেকে জরুরি বিভাগে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি নেওয়া হয় রোগীকে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে পাঠানো হয় কোভিড ওয়ার্ডে। কিন্তু গত ৩ দিন ধরে জরুরি বিভাগে র‍্যাপিড টেস্ট বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা ছাড়াই এখন ভর্তি নেওয়া হচ্ছে রোগীদের।


রোগীর আত্মীয় কুণাল ভদ্রের অভিযোগ, আমার রোগীর কোনও টেস্ট হয়নি। এখন পাশের বেডের যদি কেউ সংক্রমিত থাকেন তাহলে সংক্রমণ ছড়াবে। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক বলেন,৩ দিন ধরে র‍্যাপিড টেস্ট হচ্ছে না। এর ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। দ্রুত যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাই হাসপাতালকে বলেছি।


এবিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বছর খানেক আগে চুক্তিভিত্তিতে ৩০ জন নার্স নেওয়া হয়েছিল। এদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই র‍্যাপিড টেস্ট হচ্ছে না। দ্রুত চুক্তি নবিকরণ করে সমস্যার সমাধান করা হবে। করোনাকালে নার্সদের চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই কেন ব্যবস্থা নিল না কর্তৃপক্ষ? র‍্যাপিড টেস্ট বন্ধ থাকায় হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ছড়ালে দায় কে নেবে? উঠছে প্রশ্ন।