কলকাতা: রাম কার? তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত দড়ি টানাটানি! রামনবমী পালনে কোমর বেঁধে ময়দানে ঘাসফুল ও গেরুয়া শিবির।
রাজনীতির দুই যুযুধানপক্ষের রামভক্তদের মধ্যে এখন জোর তৎপরতা। গত বছর রামনবমী উপলক্ষ্যে সশস্ত্র মিছিল এবং তাতে বিজেপি নেতাদের অংশ গ্রহণ ঘিরে ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। এবারও একইরকম পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে গেরুয়া শিবির যাতে ফাঁকা মাঠে গোল না দিতে পারে, সেজন্য মাঠে নেমেছে তৃণমূলও। দুই শিবিরেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। শনিবার খিদিরপুরে রামনবমী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে অংশ নেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কপালে তিলক কাটেন তিনি, তবে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন।
দুবরাজপুরে রামনবমী উপলক্ষ্যে তৃণমূলের তরফে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল তোরণ। সেখানে রামের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। তৃণমূল নেতা ও দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডা জানান। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোবে। তবে অস্ত্র থাকবে না। রামপুরহাটে তৈরি করা হয়েছে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি। তা নিয়ে রবিবার বেরোবে মিছিল। ১৬৭টি পঞ্চায়েতে রামনবমী পালিত হবে বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
বসে নেই গেরুয়া শিবিরও। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে গেরুয়া পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। রামপুরহাটেও রবিবার রামনবমী উপলক্ষ্যে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে মিছিল করা হবে। তাতে অংশ নেবেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রামনবমী নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। পাল্টা তাঁর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে অনুব্রত বলেন, দিলীপ ঘোষ বলছে রামনবমী ওদের। ওর জন্মের তারিখ নিয়ে বসা উচিত। ঘোরে কথা বলছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও তাম্রলিপ্ত জনস্বাস্থ্য কৃষি ও কুটির শিল্প মেলা কমিটির উদ্যোগে রামনবমী পালনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই কমিটির সম্পাদক দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় তৃণমূল পরিচালিত তমলুক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

এদিকে তৃণমূল ও বিজেপি যখন রামনবমী পালনে তৎপর, তখন দু’দলকে একসারিতে বসিয়ে আক্রমণ শানিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, দু’টি দল লড়াইয়ে নেমেছে। বিশৃঙ্খলা হলে তাদেরই নিতে হবে। সম্প্রীতির বার্তা দিতে এদিন রামপুরহাটে মিছিলও করে বামেরা।