রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অনাস্থা! মুর্শিদাবাদের রানিনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে অপসারিত তৃণমূল সভাপতি। প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছে অনাস্থা আনা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের।


তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের কংগ্রেস দুর্গ হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদে এবার চমকপ্রদ ফল করেছে তৃণমূল।  জেলার ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে যে ২০টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ১৮টিই গিয়েছে শাসক শিবিরের দখলে। 


তারপরেও নবাবের জেলায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল যেন লেগেই রয়েছে! ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই ধুম লেগেছে অনাস্থায়। এবার তৃণমূল পরিচালিত রানিনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে সরিয়ে দিলেন তাঁরই দলের সদস্যরা। বিধানসভা ভোটের সময় দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। রানীনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন তৃণমূল সদস্যের মধ্যে ১৭ জনই সভাপতির অপসারণের পক্ষে সায় দেন।  


রানিনগর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা নারায়ণ দাস বলেছেন,  আমরা সবাই একজোট হয়ে সৌমিক হোসেনের অনমুতি নিয়ে করেছি। উনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।


অপসারিত সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রানিনগরের তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে দল বিরোধী কাজের জন্য আগেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অনাস্থা আনা ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। 


করোনাকালে দলীয় নেতৃত্ব অনাস্থা না আনার নির্দেশ দিলেও, বারবার এ ধরনের ঘটনায় অস্বস্তিতে মুর্শিদাবাদ জেলা  তৃণমূল। জেলার তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ আবু তাহের খান বলেছেন, করোনাকালে অনাস্থা নয়। রাজ্য নেতৃত্বর পরামর্শ মতোই নির্দেশ জারি করেছি। তারপরেও  নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবো। 


রানিনগর ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শাহ আলমের দাবি, সভাপতির এমন লিখিত নির্দেশ আমরা পাইনি। যারা জোটের পক্ষে ভোট করেছিল, সভাপতি কী তাদের আড়াল করতে চাইছেন? তাই এমন নির্দেশ?


সব মিলিয়ে শাসকের ঘরে কোন্দল যেন থামতেই চাইছে না।