কলকাতা: হাইকোর্টে জট খুলতেই উদ্য়োগী রাজ্য।  আগামী সপ্তাহ থেকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করা হবে। তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। কীভাবে অভিযোগ জানানো যাবে, মঙ্গলবারের মধ্যে ওয়েবসাইটে জানানো হবে। এমনই জানিয়েছেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান।


এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রতি বছরই এসএসসি এবং প্রাথমিকে টেট আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এসএসসিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় আদালতকে ধন্যবাদ জানান তিনি।


আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাত্‍, ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগে, আপাতত আর কোনও বাধা রইল না। তালিকা নিয়ে সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালতের। এরপরও অভিযোগ থাকলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।


গত সপ্তাহের শুক্রবার, হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়,  এক সপ্তাহের মধ্যে, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের, পূর্ণাঙ্গ ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। চাকরিপ্রার্থীদের মোট প্রাপ্ত নম্বর, বিষয়ভিত্তিক নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে সেই তালিকায়।পাস করার পরেও, ইন্টারভিউ লিস্ট থেকে যাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে, তাঁদেরও নম্বর প্রকাশ করতে হবে। আবেদন খারিজের কারণও দর্শাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তবেই মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে।


বৃহস্পতিবারই মেরিট লিস্ট প্রকাশ করে এসএসসি। এরপর গতকাল মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তালিকা প্রকাশে, রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আদালত।


হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এরপরেও লিস্ট নিয়ে কোনও চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ থাকলে, তিনি তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে পারেন। সচিব পর্যায়ের আধিকারিক অভিযোগ খতিয়ে দেখে, আবেদনকারীকে ডেকে শুনানি করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে চাকরিপ্রার্থীকে।


অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর, ১০ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। তারপরেও কোনও অভিযোগ থাকলে আদালতের দরজা খোলা আছে।


তবে, অযোগ্য ব্যক্তিরা যদি অযথা কমিশনের কাছে অভিযোগ নিয়ে যান, তাহলে কমিশন সেই ব্যক্তিকে জরিমানা করতে পারে।


রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়,যে লিস্ট প্রকাশ হয়েছে তা কার্যত নির্ভুল। যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।


এছাড়াও, ২০১৬ থেকে নিয়োগ  প্রক্রিয়ায় যে চাকরিপ্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের বয়সে ৫ বছর ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি।