কৃষ্ণেন্দু অধিকারী এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: শোভনের বেহালার বাড়ি নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক। কোটি টাকা দিয়ে শোভনেরই বাড়ি কিনে এখন সে বাড়ির মালিক হয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সে বাড়ি ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও থেমে থাকেননি রত্নাও। সাফ জানিয়ে দেন, মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এই বাড়িতে থাকবেন তিনি। পাল্টা আইনি ব্যবস্থাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 


বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়ার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমার কান্না পাচ্ছে। তিনটে বাটি জোগাড় করেছি।  সরকারের দেওয়া ত্রিপল রয়েছে। পর্ণশ্রীর পোস্টঅফিসের মোড়ের মাথায় ত্রিপল খাটিয়ে বাটি নিয়ে বসে পড়ব। ভিক্ষে করে খেতে হবে তো। কারণ এরকম একটা অকর্মণ্য, অপদার্থ লোককে আমি বিয়ে করেছিলাম, ভাবতেও পারছি না। লজ্জায় মাথা নীচু হয়ে যাচ্ছে। আমি মারপিট, গালাগাল, ঝগড়াঝাটি কিছুই করব না। আইনের পথে চলব। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এই বাড়িতে থাকব।" 


অন্যদিকে, শোভন-পুত্রও সাফ জানিয়েছেন, পৈত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার ছাড়ার প্রশ্ন নেই। আইনি পথে হাঁটব। আমি ছোটবেলা থেকেই এখানে বড় হয়েছি। আমি যাব না। কাউকে বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধও করতে চাই না ক্ষমতা থাকলে এই বাড়িতে ঢুকে দেখাক।  আমার শরীরে যতদিন রক্তবিন্দু থাকবে, ততদিন ওরা আমাদের বাড়ি থেকে বের করতে পারব না।


শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই বাড়িতে বর্তমানে থাকেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। কয়েক কাটা জমির উপর সেই বাড়ি। গতকালই সেই বাড়ির মালিকানা এসেছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। কোটি টাকার বেশি মূল্যে ওই বাড়ি কিনেছেন তিনি। শোভনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আইনি খরচের জেরে অর্থনৈতিক সঙ্কট হয়েছে। তাই বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শোভন জানিয়েছেন, তাঁর অবর্তমানে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


এদিকে বাড়ির মালিক হয়েই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওই বাড়ি ছাড়ার জন্য রত্না চট্টোপাধ্যায়কে কয়েকদিনের মধ্যে নোটিশ পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গ ছাড়লে বাড়িতে থাকতে পারেন শোভন-কন্যা। রত্নার সঙ্গে বাড়ি ছাড়তে হবে শোভন-পুত্রকেও।