কলকাতা: পাহাড়ে অচলাবস্থার অবসান চেয়ে একতরফাভাবে রাজ্য সরকারকে চিঠি জিএনএলএফের। আবেদনে সাড়া দিয়ে, বৈঠকের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখল মোর্চা।
এক বৈঠকের দিন সূচনা হয়েছিল অশান্তির। যার জেরে এখনও বিপর্যস্ত পাহাড়ের জনজীবন। অচলাবস্থা কাটাতে এবার খাস নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও আবার জিএনএলএফ-এর আবেদনের ভিত্তিতে। যারা কি না গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে সমর্থন করেছে মোর্চাকে! অর্থাৎ, পাহাড়ের ঐক্যে ফাটল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৯ তারিখ বিকেল চারটেয় পাহাড় নিয়ে বৈঠক। আমি চাইব সব মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি আসুক। পাহাড়ের দলগুলি এলে আমি খুশি হব। পাহাড়ের উন্নয়ন পর্ষদগুলিকেও আমরা ডাকব। পাহাড়ে অনেক কিছু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, বৈঠকে এ সব নিয়ে আলোচনা হবে।
দু’দিন আগে পর্যন্ত পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিমল গুরুংদের কাধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে জিএনএলএফ। আর সেই তারাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আলোচনা চাইল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে জিএনএলএফ দু’দিন আগে চিঠি দিয়েছে। ওদের সম্পাদক মন সিংহ দিয়েছে। ওরা আবেদন করেছে, অচলাবস্থা কাটিয়ে শান্তি ফেরাতে সরকার যাতে পদক্ষেপ নেয়। জিএনএলএফ পাহাড়ের অনেক পুরনো দল। তাদের চিঠির ভিত্তিতেই আমরা বৈঠক ডাকলাম। সরকার শান্তি চায়, যারা শান্তির পক্ষে তাদের সঙ্গে আছি।
প্রথমে চড়া সুর। আন্দোলনের আগুন। তারপর বিস্ফোরণ, ইউপিএতে মামলা। এরপরই শান্তি চেয়ে আলোচনার সুর শোনা যাচ্ছিল মোর্চা নেতৃত্বের গলায়। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের বৈঠকে কি অংশ নেবেন বিমল গুরুংরা? গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা স্বরাজ থাপা বলেন, ২৯ তারিখ অনেক দেরি। আমরা আগে দলের মধ্যে কথা বলি।
টেবিলে বসে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সমাধান সূত্র বের করা, না কি নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পাহাড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া, কি করবেন বিমল গুরুংরা? এখন প্রশ্ন এটাই।