হুগলি: বাড়ির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে ছায়ামূর্তি। চরম আতঙ্কে দিন কাটছিল মানকুণ্ডুর একটি পরিবারের। অবশেষে টেনশনে ইতি পড়ল সোমবার।
মানকুণ্ডু স্টেশন লাগোয়া এলাকাতে থাকেন, জমিদার নবকুমার খাঁর বংশধরেরা। পুরনো জমিদারবাড়ির একাংশ ভেঙে বছর তিনেক আগে এই বহুতল তৈরি হয়। জমিদার বংশের বেশ কয়েকজন সদস্য ফ্ল্যাট নিয়ে এখানে থাকেন। পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন শুভজিৎ খাঁ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরেই ঘরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চমকে উঠছেন তাঁরা! একটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ঘরের মধ্যে সবসময়ই কিছু একটা নড়াচড়া করছে! ঠিক যেন ছায়া-মূর্তি! অবয়বের আনা-গোনা!
শুধু শুভজিৎ ও তাঁর স্ত্রীই নন, অশরীরী-আতঙ্ক গ্রাস করেছে বহুতলের অন্যান্য বাসিন্দাদেরও! ছোট থেকে বড়, সবারই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে! পরিবারের সদস্যার দাবি, দুপদাপ আওয়াজ শুনতে পেতেন তিনি।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভয়ে রাতে দু’চোখ এক করতে পারছিলেন না আতঙ্কিত এই মানুষগুলো। যে সংস্থা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে গিয়েছিল, তাদের বিষয়টি জানায় খাঁ পরিবার। সোমবার সংস্থার মেকানিকরা ফ্ল্যাটে আসতেই সব রহস্যে যবনিকা!
সিসিটিভি ক্যামেরার মেকানিক জানান, লেন্সে ময়েশ্চার পড়েছে। মানকুণ্ডু বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য চন্দন দেবনাথ বলেন, এটা হতেই পারে না। ভূত আবার কি! আমরাও টেস্ট করে দেখলাম। ক্যামেরার লেন্সে ময়েশ্চার।
অর্থাৎ ভূত-অশীরিরি কিছুই নেই! সিসিটিভি ক্যামেরায় ত্রুটি! তার জেরেই যত আতঙ্ক।