দার্জিলিঙ:  দার্জিলিঙে বনধের সময় অফিসে অনুপস্থিতির জের। সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত কার্যকর করল রাজ্য সরকার।অশান্তির প্রথম আগুনটা জ্বলেছিল আটই জুন! তারপর কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি! কিন্তু, পাহাড় এখনও জ্বলছে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরিবর্তে পাহাড় থেকে অশান্তি নেমে আসছে সমতলেও!


রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে জয়গাঁ, সুকনার মতো সমতল এলাকাতেও আন্দোলন শুরু করেছে মোর্চা।রক্তাক্ত হয়েছে পুলিশ কর্মী।

বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করল রাজ্য সরকার। মোর্চার ডাকা বনধে অফিসে গরহাজির কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল নবান্ন।

দার্জিলিং জেলাশাসকের দফতরের কর্মী সংখ্যা ২০০।

অর্থ দফতর সূত্রে খবর, এর মধ্যে ১৮০ জনেরই বেতন কাটা হয়েছে। জিটিএ-তে কাজ করেন আট হাজার জন। এর মধ্যে বেতন কাটা হয়েছে সাড়ে ছ’হাজার কর্মীর।

কারও একদিন, কারও আবার ২ কিম্বা ৩ দিনের বেতন কাটা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

১২ জুন থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

তার আগে ৯ জুন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বনধে অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা হবে। সেটাই এবার কার্যকর করা হল। কর্মসংস্কৃতির প্রশ্নে আরও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। সূত্রের খবর, মোর্চার ডাকা বনধে যে কর্মীরা কাজে আসছেন না, আগামী দিনে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।