বীরভূম: বনে-বাদাড়ে গিয়ে ভূতের রাজার দেখা পেয়েছিল গুপী-বাঘা। তারপরই তাদের কপাল খুলে গিয়েছিল। শ্যাওড়া গাছের ভূতেদের দুপুরে ঢিল ছোড়ার গল্প তো শিরদাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেয়। বাস্তবে এবার বীরভূমেও নাকি দেখা মিলেছে এমন এক গাছের, যেখানে ভূত রয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের!
ইলামবাজার থানার মাদারবনি গ্রাম। এখানকার গৌসুলি পাড়ে রয়েছে একটি পাকুড় গাছ। বছরের পর বছর তাকে ঘিরে রয়েছে বহু কুসংস্কার। গ্রামবাসীদের দাবি, এই গাছে নাকি ভূত রয়েছে! অন্ধবিশ্বাস থেকে এমনই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে, গাছের পাশ দিয়ে কেউ একা যেতে চান না।
গ্রামের বাসিন্দা কামালউদ্দিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে গেলেই পায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। এই ভয়ে কেউ যেতে চায় না।
বয়স্কদের আবার দাবি, বছরের পর বছর নাকি এই গাছের চেহারায় কোনও বদল হয় না। আরেক বাসিন্দা মহম্মদ ইউসুফ বলেন, ৭৮ বছর ধরে গাছটাকে দেখছি। কোথা থেকে এল, কেউ জানে না। গাছটার পরিবর্তন হয় না। একইরকম থাকে।
যদিও, যুক্তিবাদীরা এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন। অজ্ঞতার অন্ধকারে থাকা মানুষগুলিকে বোঝানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। যুক্তিবাদী সুজিত সাধু বলেন, ভুত বলে কিছু নেই। আমরা গ্রামে যাব, বোঝাব।
গল্পকথায় ভূতের অভাব নেই। আর মজার বিষয় হল, সেই সব ভূতের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে এক একটি গাছ। শ্যাওড়া গাছে নাকি পেত্নি বাসা বাঁধে! অশ্বত্থ আর দেবদারু গাছে বাড়ি ব্রহ্মদৈত্যর! আবার মেছোভূত নাকি থাকে জলাশয়ের ধারে বাঁশ বনে! কিন্তু, এসব যে শুধু গল্পেই হয়, সেটাই এখন গ্রামবাসীদের বোঝাতে চাইছে যুক্তিবাদীরা।