দু’দফায় ৪ ঘন্টা জেরা করা হয় তৃণমূল সাংসদকে। তাঁর দেওয়া নথির ভিত্তিতে বয়ান রেকর্ড করা হয়। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তাপস এড়িয়ে যান বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১১-১২ সালে রোজভ্যালি সংস্থার সঙ্গে তাপস পালের চেক ও নগদে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। সেসময় কয়েকমাস রোজভ্যালির ফিল্ম ডিভিশন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তাপস। তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থার কী চুক্তি হয়েছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। ২০১০ সালে সেবি ও আরবিআই-কে চিঠি দিয়ে রাজ্যে বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাড়বাড়ন্তের কথা জানিয়েছিলেন তাপস পাল। চিঠিতে বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম ছিল না রোজভ্যালির। তদন্তকারীরা জানতে চান, এর পিছনে কি অন্য উদ্দেশ্য ছিল? সিবিআইয়ের প্রশ্ন, সংস্থার ডিরেক্টর হয়েও রোজভ্যালির ব্যবসার ধরন কি জানতেন না তাপস? রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু সঙ্গেও তাপস পালের আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। এনিয়েও জানতে চান তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতা ও প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে তাঁদের অনেকেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
সারদা ও রোজভ্যালির তদন্তে সিবিআইয়ের তত্পরতায় বেশ কয়েক মাস ধরেই টান পড়েছিল। দুটি তদন্তেই এতদিন কোনও অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে নোট বাতিলের জেরে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন। এরপরই সিবিআই তাপস ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কেও নোটিশ পাঠায়। নোট বাতিলের জেরে মমতার তীব্র বিরোধিতার মুখে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে কেন্দ্রের নির্দেশে সারদা ও রোজভ্যালি নিয়ে সিবিআইয়ের এই নতুন তত্পরতা দেখা যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। ইতিমধ্যে মমতা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেই ভয় দেখানো হচ্ছে।