এর আগে, গত সপ্তাহে পর্যটকদের দু ফুটের মধ্যে চলে আসে রয়্যাল বেঙ্গল। পড়ন্ত রোদ্দুরে নদীতে সাঁতার। এরপর রাজকীয় ভঙ্গিতে জঙ্গলে ঢুকে যায় বাঘটি। বাকরুদ্ধ করা মুহূর্ত ধরা পড়ে পর্যটকদের ক্যামেরায়।
গত বুধবার, হুগলির ডানকুনি থেকে একদল পর্যটক সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দোবাঁকি থেকে লঞ্চে চেপে পাখিরালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।
দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে, সবাই যখন অলস মেজাজে, তখনই তার সঙ্গে সাক্ষাত্। মাতলার জলে, রয়্যাল বেঙ্গলের রাজকীয় সাঁতার। পিছু নেন লঞ্চের মাঝিও। রয়্যাল মুহূর্ত ধরা পড়ে পর্যটকদের ক্যামেরায়।
এক সময়ে বাঘে-মানুষে দূরত্ব একসময় দু’ফুটের মধ্যে চলে আসে। যদিও পর্যটকদের আশ্বস্ত করে মাঝি বলেন, বাঘ জল থেকে ঝাঁপ দিতে পারে না। জল থেকে উঠে রাজকীয় ভঙ্গিতে জঙ্গলে ঢুকে যায় দক্ষিণ রায়ের বাহন!
এ যেন গুপ্তধন পাওয়ার সামিল! সুন্দরবনের সম্রাটের দেখা মেলা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। বছরের শুরুতে সেই অভিজ্ঞতা চাক্ষুষ করতে পেরে, শিহরিত ডানকুনির পর্যটকদল।
এর আগে, গত ১৮ তারিখ পর্যটকদের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
গোসাবার সুধন্যখালির ওয়াচ টাওয়ার থেকে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দিকে ক্যামেরা তাক করে বসেছিলেন পর্যটকরা। তখনই হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
পর্যটকদের মধ্যে তখন বাঘ দেখার জন্য হুড়োহুড়ি। সকলে ব্যস্ত মোবাইল ফোনের ক্যামেরার তার ছবি তুলতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাছপালার ফাঁকে আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় হলুদ-কালো ডোরা কাটা চেহারাটা।
সুন্দরবনে কয়েকবার বাঘের দর্শন পেয়েছেন পর্যটকরা। তবে প্রতিবারই লঞ্চ থেকে খাঁড়িতে সাঁতার দিতে দেখা গিয়েছে বাঘকে। এবার ওয়াচ টাওয়ার থেকেও দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গলের।